মানহানির ক্ষেত্রে কারাদণ্ড নেই, থাকবে জরিমানার বিধান

33

পূর্বদেশ অনলাইন
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে নতুন যে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হচ্ছে, সেখানে মানহানির মামলায় কারাদণ্ডের বিধান থাকবে না। তবে থাকছে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকার জরিমানা ও অনাদায়ে তিন বা ছয় মাসের কারাদণ্ড। সোমবার (৭ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৯ ধারায় মানহানির বিচার করা হয়। এই ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে দণ্ডবিধির ৪৯৯ ধারায় বর্ণিত মানহানিকর তথ্য প্রকাশ ও প্রচার করেন, তজ্জন্য তিনি অনধিক তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। নতুন আইনে কারাদণ্ডের বিধান বাতিল করা হয়েছে।একইসঙ্গে এ জরিমানা ২০ লাখ টাকা বাড়িয়ে ২৫ লাখ টাকা করা হয়েছে। অনাদায়ে তিন বা ছয় মাসের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এ সাজা শুধু জরিমানা না দিতে পারলেই ভোগ করতে হবে। আইনমন্ত্রী বলেন, ২৯ ধারায় সাজা ছিল কারাদণ্ড। সেটাকে সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত করা হচ্ছে। এখানে শুধু শাস্তি হবে জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাস, না হয় ছয় মাসের কারাদণ্ড থাকবে। তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, ব্যাখায় (খসড়া আইন) এখন কোনো কারাদণ্ড নেই। গ্রেপ্তার করার আর কোনো সম্ভাবনাই থাকল না। তার মানে গ্রেপ্তার হচ্ছে না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, না, অ্যারেস্ট হবে না। সাইবার নিরাপত্তা আইনের কোনো ধারা নিয়ে যদি আবার প্রশ্ন ওঠে তখন কী করবেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত সুচিন্তিতভাবে করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠবে বলে আমি মনে করি না এবং এটা পরিবর্তন করার কোনো প্রয়োজনও নেই। পৃথিবীর যেখানে বা যেদেশে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে যে আইন করা হয়েছে, আমাদের যে আইন আছে তার চেয়ে কঠিন। সেক্ষেত্রে এখনই যদি আপনারা বলেন যে পরিবর্তন করতে, আমার মনে হয় এটা অযৌক্তিক একটা প্রশ্ন। কিন্তু এখন যেটা করা হয়েছে সেটা সাইবার ক্রাইম বন্ধ করতে অত্যন্ত সহায়ক হবে। আর আপনারা (সাংবাদিকরা) যে সমস্যা নিয়ে ব্লেইম করছিলেন সেই অপব্যবহারটাও বন্ধ হবে। পাঁচ বছরের মাথায় এসে এ আইন পরিবর্তন হলো। তাহলে কী বলতে পারি এটা ভুল সিদ্ধান্ত বা সুচিন্তিত ছিল না, এমন প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা মোটেও সেই সময় ভুল সিদ্ধান্ত নিইনি। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার হচ্ছে লিসিনিং গর্ভমেন্ট। এই আইনের যখন অপব্যবহার করা হচ্ছিল, সেটা স্বীকার করার মতো সৎসাহস আমাদের ছিল, স্বীকারও করেছি। যে ক্ষেত্রে অপব্যবহার হচ্ছিল সেগুলোতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাইবার নিরাপত্তা আইনে সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।