মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রীর সমীপে- সাতকানিয়া উপজেলার কাঞ্চনায় একটি কলেজ স্থাপনের আবেদন

53

চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত সাতকানীয়া উপজেলার কাঞ্চনা একটি ঐতিহ্যবাহী এলেকা। শিক্ষা সংস্কৃতিতে অগ্রসর এই এলাকাটি ব্রিটিশ আমল থেকে অতীব সুপরিচিত। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে পর্যাপ্ত প্রতিষ্ঠান থাকায় প্রতি বছর এই এলাকা ও তৎসংলগ্ন কয়েকটি ইউনিয়নের প্রায় হাজার খানেক শিক্ষার্থী এস এস সি পরীক্ষার বৈতরণী পেরিয়ে কলেজগামী হয়। কিন্তু অধিকাংশ দরিদ্র হওয়ায় প্রায় পনের (১৫) কিলোমিটার দূরবর্তী সাতকানিয়া সরকারী কলেজ এবং প্রায় বিশ কিলোমিটার দূরবর্তী আলওয়াল কলেজ/বাঁশখালী কলেজে যাতায়াত খরচ বহন করে পড়াশোনা অব্যহত রাখতে পারে না। মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী তাঁর প্রায়ত পিতা চট্টলার সফল মেয়র জনাব মহিউদ্দিন চৌধুরীর নিকট থেকে শিক্ষার প্রতি ত্যাগ তিতিক্ষা ও অবদানের যে প্রেরণাধন্য হয়েছেন তার দৃষ্টান্ত দেশবাসীর নিকট ইতিমধ্যে প্রতিভাত হয়েছে। নগরীতে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সহ অসংখ্য স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করে চট্টগ্রামের শিক্ষা ব্যবস্থাকে যে উচ্চতায় সমাসীন করেছেন তা আগামী এক শতাব্দীতেও কেউ তাঁকে স্পর্শ করতে পারবে না। তাঁরই সুযোগ্য সন্তান চট্টলবাসীর গর্ব মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহোদয় শিক্ষার ক্ষেত্রে পিতার পদাঙ্ক অনুসরণে ব্রতী। কাঞ্চনাবাসী মহোদয়ের উক্ত কর্মযজ্ঞের প্রসাদ প্রার্থী হয়ে কাঞ্চনায় একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার আকুল নিবেদন করছে। অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, সাবেক বিএনপি সরকারের আমলে কাঞ্চনায় একটি কলেজ স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের বরাবর বহুবার আবেদন নিবেদন করেও এলাকাবাসী মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির প্রাধান্য থাকায় কোন সুফল মিলেনি। বর্তমানে চট্টলার শিক্ষা উপমন্ত্রীর ক্ষমতার মেয়াদে কাঞ্চনাবাসী একবুক আশা নিয়ে মহোদয়ের পানে হাত বাড়িয়েছে। কাঞ্চনায় অবস্থিত তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নয়টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তিনটি মাদ্রাসার চতুরপাশে অবস্থিত চরতী, আমিলাইশ, এওচিয়া এমনকি বাঁশখালী থানার কিছু এলাকা থেকেও হাজার হাজার শিক্ষার্থী কাঞ্চনায় পড়তে আসে। আনুমানিক বিশ (২০) কিলোমিটার এলাকার বাসিন্দাদের শিক্ষা কেন্দ্র এই কাঞ্চনা। তাই কাঞ্চনায় একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা প্রায় দুইলক্ষ (২,০০,০০০)বাসিন্দার প্রাণের দাবি। অতএব, উপরোক্ত বিষয়াদি যথাযথ বিবেচনা পূর্বক চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলাস্থ কাঞ্চনায় একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলে কাঞ্চনাসহ কয়েকটি ইউনিয়নের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি পূরণ হওয়ার পাশাপাশি অসংখ্য সম্ভাবনাময়ী তরুণ শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণের মাধ্যমে জাতীয় জীবনে এক যুগান্তকারী অবদান হিসাবে মহোদয়ের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে ।

নিবেদক
মুহাম্মদ এনামুল হক মিঠু
কাঞ্চনা, সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম