মাধ্যাকর্ষণ জটিলতায় মহাকাশে যৌনতাকে নিষিদ্ধ করছেন বিজ্ঞানীরা

87

নাসা’র মাধ্যাকর্ষণ শক্তির তীব্র অভাবে মহাকাশে কোনো নারীর সন্তান হলেও তা আকারে বড় হয় কিন্তু এধরনের শিশুর হাড় হয়ে থাকে খুবই ভঙ্গুর। ফলে এধরনের শিশুর মা পৃথিবীতে ফিরে আসার পর তার পক্ষে বড় আকৃতির সন্তান জন্ম দেয়া সম্ভব নয়। ভূমিষ্ঠ হলেও এধরনের শিশু বেঁচে থাকার কোনো নিশ্চয়তা নেই বরং বিড়ম্বনা হয়ে থাকে। তাই নভোচারীদের মহাকাশে যৌনতায় লিপ্ত হবার পক্ষে নন বিজ্ঞানীরা। এমনকি এধরনের সন্তান যাতে কোনো নভোচারী না নেন সে জন্যে আইন করার পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের সাফ কথা এমন সন্তান পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হওয়াও সম্ভব নয়। তারা এও বলছেন, মাধ্যাকর্ষণ শক্তির অভাব মহাকাশে নারীর সন্তানদানে কি ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলে তা কল্পনা করা যায় না।
বিজ্ঞানীরা এও বলছেন, মহাকাশে শিশু গর্ভধারণ মানেই সে স্বাভাবিকের চেয়ে আকারে অনেক বড় হবে কিন্তু সে হবে ক্ষীণ। তার হাড় হবে খুবই দুর্বল। পৃথিবীতে আসা মাত্রই মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে শিশুটির হাড় ভেঙ্গে যাবে। মহাকাশে যখন গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে মানুষ বাস করার জন্যে নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে ঠিক তখনি এধরনের সাবধানবাণী উচ্চারণ করলেন বিজ্ঞানীরা। এমনকি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে আগামী ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে মহাকাশে বাস করতে শুরু করবে মানবসন্তান।