মাদক মামলায় এক ব্যক্তির ১০ বছরের কারাদন্ড

4

নিজস্ব প্রতিবেদক

মাদক মামলায় এক ব্যক্তিকে ১০ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। পাঁচলাইশ থানায় দায়ের করা একটি মামলায় গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর দন্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দন্ডিত সৈয়দ কাশেম কক্সবাজারের টেকনাফের ভোদারবিল এলাকার মৃত কালা মিয়ার ছেলে।
প্রাপ্ত তথ্য বলছে, ২০১৪ সালের ৭ অক্টোবর চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার হিলভিউ আবাসিক এলাকা থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার ইয়াবাসহ সৈয়দ কাশেমকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এ ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৫ সালের ২০ মে চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৬ সালের ১৮ মে তৎকালীন মহানগর দায়রা জজ মো. শাহেনুর আসামি কাশেমকে ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আর দুই মাস কারাদন্ড দেন। পরে আসামিপক্ষ হাইকোর্ট বিভাগে আপিল ৫১৮০/২০১৬ দায়ের করে। হাইকোর্ট বিভাগ ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি রাসায়নিক পরীক্ষকের সাক্ষ্য গ্রহণসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য সাক্ষ্য উপস্থাপন করতে বলেন।
এরপর পিবিআই রাসায়নিক পরীক্ষককে সাক্ষী করে এবং তদন্ত শেষে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়। পরে রাষ্ট্রপক্ষে রাসায়নিক পরীক্ষকসহ আরও তিনজন সাক্ষ্য দেন। মোট নয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে গতকাল সোমবার মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা আসামিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেন। এছাড়া ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাস বিনাশ্রম দন্ডে দন্ডিত করেন।
এই বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী জানান, মামলার এজাহারে আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আদালতের সামনে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে আদালতের বিচারক ওই আসামিকে উল্লেখিত সাজা ও জরিমানা করেছেন।
তিনি আরো বলেন, এই মামলা প্রমাণ করতে নয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন করা হয়। সোমবার আদালত আসামিকে ১০ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন। এছাড়া ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। তবে আসামির পূর্বের হাজতবাস সাজা থেকে বাদ যাবে। রায় ঘোষণার পর আদালতের আদেশে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।