‘মাদক পাচারে জড়িতরা কেউ ছাড় পাবে না’

18

দেশপ্রেম না থাকলে, ইয়াবা বন্ধ করা সম্ভব হবে না। দেশ ও মানুষের কথা ভেবে মাদক নির্মূলে সব শ্রেণির মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। মাদক কারবারীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ইয়াবার চাহিদাও কমাতে হবে। মিয়ানমার থেকে আসা ইয়াবা দেশ ও যুব-সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। ইয়াবার কারণে একটা প্রজন্ম ধ্বংস হতে পারে না। ইতোমধ্যে মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্তায় বিজিবির কিছু সদস্যকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। মাদকের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। গতকাল সোমবার টেকনাফ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বিজিবির উদ্যোগে আয়োজিত মাদক রোধে জনসচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়ন (বিজিবির) অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান এসব কথা বলেন। সভা পরিচালনা করেন টেকনাফ-২ বর্ডার গার্ড ব্যাটলিয়ানের অপারেশন মেজর রুবায়াৎ কবির।
লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান বলেন, মাদক পাচারে শুধু রোহিঙ্গাদের উপর দায় চাপিয়ে দিলে চলবে না। প্রকৃতপক্ষে রোহিঙ্গাদের কারা এসব কাজে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে তাদের আইনের হাতে তুলে দিন। কিছু কিছু ক্যাম্প নাফ নদী ও পাহাড়ের কাছাকাছি হওয়ায় খুব সহজে সেখানে ইয়াবার চালান ঢুকে পড়ছে। ফলে নাফ নদীতে বিজিবির টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। তাছাড়া নানা প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি সীমান্তে বিজিবি সদস্যরা নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন টেকনাফ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আলম, সাবেক সাংসদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, উখিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হামিদুল হক চৌধুরী, কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লে. কমান্ডার এম সোহেল রানা, টেকনাফ ২৪ ও ২৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান, টেকনাফ ২৬ ও ২৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প ইনচার্জ মোহাম্মদ খালিদ হোসেন, র‌্যাব-১৫ সিপিসি-১ টেকনাফ ক্যাম্প কমান্ডার লে. মির্জা শাহেদ মাহতাব, টেকনাফ পৌরসভার মেয়র মো. ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম, টেকনাফ মডেল থানার পরির্দশক (অপারেশন) রকিবুল ইসলাম খান। উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহাম্মদ আনোয়ারী, নূর মোহাম্মদ, নূর হোসেন, প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, সাংবাদিক জাবেদ ইকবাল চৌধুরী, আশেক উল্লাহ ফারুকী প্রমুখ।