মাঝি থেকে কোটিপতি!

9

নিজস্ব প্রতিবেদক

টেকনাফ থেকে মাদকের বড় চালান এনে চট্টগ্রামের একশ্রেণির পাইকারী ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতেন জসিম উদ্দিন। আনোয়ারা উপজেলার স্থানীয়রা তাকে চিনতেন কর্ণফুলী নদী ও বঙ্গোপসাগরে ট্রলারের মাঝি হিসেবে। কিন্তু এই পেশার আড়ালে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।
জসিম উদ্দিন চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার খোর্দ্দ গরিরা এলাকার মৃত আবুল বশরের ছেলে।
মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে গত কয়েক বছরে জসিম উদ্দিন অঢেল সম্পদ গড়ে তুলেছেন। তার বিরুদ্ধে দীর্ঘ অনুসন্ধান চালিয়ে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা অবৈধ সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর দপ্তরের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
দুদক জানায়, ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর জসিম উদ্দিনকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয় দুদক। ওই বছরের ১৩ নভেম্বর তিনি দুদকের দাখিলের নোটিশ গ্রহণ করেন। ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তিনি সম্পত্তি ৩ কোটি ২২ লাখ ৫ হাজার টাকার স্থাবর এবং ১৪ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদ দেখান জসিম। তার সম্পদ যাচাইয়ের সময় ৩ কোটি ৯৮ লাখ ১৩ হাজার ৮৫৪ টাকার স্থাবর এবং ২৯ লাখ ২১ হাজার ৩৪৭ টাকার অস্থাবরসহ মোট ৪ কোটি ২৭ লাখ ৩৫ হাজার ২০১ টাকার সম্পদের খোঁজ পায় দুদক। এরমধ্যে ৯১ লাখ ৩০ হাজার ২০১ টাকা সম্পদের তথ্য গোপন এবং ৩ কোটি ৫০ লাখ ৬০ হাজার ২০১ টাকার সম্পদের তথ্য অসঙ্গতিপূর্ণ পায় দুদক কর্মকর্তা।
এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) এবং ২৭ (১) ধারায় জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক কর্মকর্তা আব্দুল মালেক বলেন, জসিম একজন মাদক কারবারী। স্থানীয়রা তাকে বোটের মাঝি হিসেবে চিনত। এই পেশার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে মাদক ব্যবসার মাধ্যমে তিনি অঢেল সম্পদ গড়ে তুলেছেন। তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় তদন্তে অন্য কারও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।