মাছ ধরতে যাওয়া যুবকের ওপর হামলা: মৃত্যুর ঘটনায় মামলা

7

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি

রাঙ্গুনিয়ায় কর্ণফুলী নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে হামলায় মো. শহীদুল্লাহ্ (২৪) নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে নিহতের পরিবার। গত সোমবার রাতে নিহতের পিতা মো. ফজল করিম বাদী হয়ে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে তাদের আসামি করা হয়। তারা হলেন কোদালা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ডংয়ের মুখ এলাকার শাহ আলমের ছেলে মো. মনির (৩৫), তার বড় ভাই মো. নাছের (৪২) এবং কোদালা ধোপাঘাট জান মোহাম্মদ বাড়ির ছৈয়দ আলমের ছেলে আবদুল মান্নান (৩৫)। নিহত শহীদুল্লাহ্র বাড়ি কোদালা ইউনিয়নের ধোপাঘাট সিকদার বাড়ি এলাকায়। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রী ছিলেন এবং পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন বলে জানা গেছে।
মামলার বিবরণে নিহতের পিতা ফজল করিম উল্লেখ করেন, শহিদুল্লাহ গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে তার ৭ বন্ধুর সাথে মাছ ধরতে কর্ণফুলী নদীতে যায়। তারা কোদালা ধোপাঘাট ব্রীকফিল্ড এলাকায় রাত ২টার দিকে মাছ ধরতে নামে। এসময় মনি, নাছের ও আবদুল মান্নানসহ ৭/৮ জন তাদের উপর ইটের টুকরো, লাঠিসোঁটা ও কিরিচ দিয়ে অতর্কিত হামলা করে। এসময় বাকীরা পালিয়ে যেতে পারলেও পালাতে পারেনি শহীদুল্লাহ। হামলাকারীরা শহীদুল্লাহকে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করে নদীতে ফেলে দিয়ে চলে যায়। এসময় হামলাকারীদের কিরিচের আঘাতে নিহতের বন্ধু মানিকও আহত হয়। এদিকে ছেলে বাড়ি না ফেরায় পরদিন থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন বৃদ্ধ ফজল করিম। ছেলেকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে গত ১ অক্টোবর ভোর ৭টায় শিলক ইউনিয়নের ভান্ডারির স’মিল ঘাটে লাশটি ভেসে ওঠার সংবাদ পান তিনি। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
নিহতের পিতা অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে নির্মমভাবে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পানিতে ফেলে দিয়েছে তারা। আমার ছেলের বন্ধুরা হামলাকারীদের মধ্যে তিনজনকে চিনে ফেলেছে। তাদের নেতৃত্বেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। আমি তাদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। জানা যায়, হামলাকারীরাও ওই স্থান থেকে নিয়মিত মাছ ধরতেন। নিহত শহীদুল্লাহসহ তার বন্ধুরা কর্ণফুলী নদীর নির্দিষ্ট ওই স্থান থেকে মাছ ধরতে যাওয়ায় হামলাকারীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা। দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি ওবায়দুল ইসলাম বলেন, মাছ ধরতে গিয়ে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।