মাঘোৎসব ও পিঠা প্রতিযোগিতা নগর জীবনের একঘেঁয়েমি থেকে পিঠা উৎসব আনে মুক্তির স্বাদ

9

‘ঋতুবৈচিত্র্যের দেশ বাংলাদেশে ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রকৃতির রং-রূপ বদলায়। ভিন্ন ভিন্ন ঋতুতে বাংলাদেশ ভিন্ন ভিন্ন রূপ ধারণ করে। বৈশাখে রুদ্র রূপ, শরতে শান্ত, ¯িœগ্ধ চেহারা, শীতে কুঁকড়ে থাকে বাঙালি জীবন। আবার এই শীতেই বাঙালি জীবন নবান্ন উৎসবে মেতে ওঠে। পৌষ মাসে নিকোনো উঠোনে যখন নতুন ধানের গন্ধে মৌ মৌ করে পল্লীগ্রাম, তখন নতুন চাল দিয়ে তৈরি পিঠাপুলি, পায়েস খাওয়ার উৎসবে মেতে ওঠে বাঙালি। সাংস্কৃতিক সংগঠন কলাকেন্দ্রের মাঘোৎসব আয়োজনের মধ্যে আবহমানকালের গ্রাম বাংলার সেই চিরায়ত উৎসবকেই নগর জীবনে ধারণ করার মহৎ প্রচেষ্টারই প্রতিফলন দেখতে পাই।’ গতকাল শুক্রবার জামালখান ডা. এম এ হাশেম স্কয়ারে কলাকেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত মাঘোৎসব ও পিঠা প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির ভাষণে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ ও চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন উপর্যুক্ত মন্তব্য করেন। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের সূচনায় কলাকেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক সুজিত ভট্টাচার্য দোলন স্বাগত বক্তব্য দেন। কলাকেন্দ্রের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত দাশ অপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, ফিরিঙ্গীবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, মহিলা কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্ত, কলাকেন্দ্রের সদস্য অভিজিৎ সেনগুপ্ত, সুজিত চৌধুরী মিন্টু ও সমীরণ পাল। প্রধান অতিথির ভাষণে আ জ ম নাছির আরো বলেন, নগর জীবনে গ্রামীণ উৎসবের আয়োজন করার জন্য কলাকেন্দ্রকে আমি ধন্যবাদ জানাই। একটি দিনের জন্য হলেও তাঁরা আমাদের নগর জীবনের ক্লান্তি, কোলাহল, অবসাদ ভুলে থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন। এ ধরনের উৎসব যত হয়, ততই আমরা নাগরিক জীবনের উষর ভ‚মিতে মরুদ্যানের আস্বাদ পাব। শেষে বাচিকশিল্পী অভিজিৎ সেনগুপ্তের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয় শিল্পী কাজল দত্ত, জয়া দত্ত, ফেরদৌস ফারুকী, রূপরায় চৌধুরী, রায় নন্দিনী, সমীরন পাল, বেবী দাশ, সুকুমার দে, রোজী চৌধুরী, কবিতা নন্দী, রোমা চৌধুরী, শারমিন চৌধুরী। বিজ্ঞপ্তি