মাকে চেতনানাশক ওষুধ লাগিয়ে শিশু ছিনতাই সীতাকুন্ডে

6

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি

১৪ দিন বয়সী শিশু পুত্র অসুস্থ হলে তাকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে বের হন জেনি আক্তার। ডাক্তারও দেখান। বাড়িতে যাওয়ার জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। এসময় একটি সিএনজি অটোরিকশা তার সামনে এসে দাঁড়ায়। যাবেন কিনা জিজ্ঞাসা করলে চালক জেনি আক্তারকে গাড়িতে উঠতে বলেন। গাড়িটিতে উঠে দেখেন সেখানে অন্য এক নারী আগে থেকে বসা। জোড়আমতল থেকে ভাটিয়ারী যাওয়ার পথে ঐ নারী জেনি আক্তারের মাথায় হাত বুলিয়ে অচেতন করে ফেলেন। এরপর ভাটিয়ারী এলাকায় জেনি আক্তারকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে বাচ্চা নিয়ে চম্পট দেয় ওই নারী। দীর্ঘ সময় পর চেতনা ফিরে পেলে সীতাকুন্ড থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন ভুক্তভোগী। অভিযোগ পরবর্তী পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে।
উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের মোল্লা পাড়া গ্রামের ইয়াসিনের স্ত্রী জেনি আক্তার বলেন, আমি রবিবার সকালে শিশু পুত্রকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যায় উপজেলার জোড়ামতল এলাকায়। ডাক্তার দেখিয়ে বাড়িতে যাওয়ার জন্যে রাস্তায় দাঁড়ালে আমার সামনে একটি সিএনজি অটোরিকশা এসে দাঁড়ায়। চালক কোথায় যাবো জিজ্ঞেস করলে আমি ভাটিয়ারী যাবো বলে ওই গাড়িতে উঠে দেখি সেখানে অন্য এক নারী বসা। কিছু দূর যাওয়ার পর ওই নারী আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলেন, আপনার বাচ্চাটাতো সুন্দর আছে, আমাকে একটু দেন দেখি। মহিলাটি আমার মাথায় হাত লাগানোর পর থেকে মাথা ঘুরতে থাকে। আমি তার দিকে তাকিয়ে আছি কিন্তু কোন কথা বলার শক্তি পাচ্ছিনা। ভাটিয়ারী শহীদ মিনারের সামনে আসার পর আমাকে বলে আপনি গাড়ি থেকে নামুন বাচ্চা দিচ্ছি। আমি গাড়ি থেকে নামা মাত্রই গাড়িটি চলে যায়। আমাকে চেতনানাশক ওষুধ লাগিয়ে আমার শিশুকে নিয়ে পালিয়ে যায় ওই নারী ছিনতাইকারী। এ বিষয়ে সীতাকুÐ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বনিক বলেন, অভিযোগ পেয়ে শিশুর মায়ের সাথে আমরা কথা বলছি। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।