মাউশির প্রতিবেদন ষষ্ঠ শ্রেণিতে অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থী ইংরেজিতে দুর্বল

13

প্রতিবেদন তৈরির দীর্ঘদিন পর ‘মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জাতীয় মূল্যায়ন-২০১৯’ শীর্ষক প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে ধরল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ষষ্ঠ শ্রেণিতে ৬১ শতাংশ শিক্ষার্থীর ইংরেজিতে অবস্থা খারাপ। এর মধ্যে ২৯ শতাংশের অবস্থা খুবই খারাপ এবং ৩২ শতাংশের অবস্থা খারাপ বা গড়পড়তা। আর একই শ্রেণিতে গণিতে ৪৩ শতাংশের অবস্থা খারাপ বা গড়পড়তা। এর মধ্যে ১৩ শতাংশের অবস্থা খুবই খারাপ। অবশ্য ওপরের শ্রেণিতে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতির উন্নতি হয়। যেমন ষষ্ঠ শ্রেণির তুলনায় অষ্টম শ্রেণিতে কিছু ভালো এবং দশম শ্রেণিতে গিয়ে আরও ভালো করছে শিক্ষার্থীরা। আর মাতৃভাষা বাংলার পরিস্থিতি তুলনামূলক ভালো।
মাউশির পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন শাখা বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করেছিল। মাধ্যমিক স্তরের এক হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ষষ্ঠ, অষ্টম ও দশম শ্রেণির প্রতিটিতে ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর ওপর গবেষণা চালানো হয়। এর মধ্যে ৮৪৩টি বিদ্যালয় ও ১৫৭টি মাদ্রাসা ছিল। ২০২০ সালের জানুয়ারি এবং মার্চে আগের বছরের ওই তিন শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ওপর পরীক্ষা নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। শিক্ষাক্রমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ওই মূল্যায়ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র করা হয়েছিল।
রাজধানীর জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) এক কর্মশালায় ‘মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জাতীয় মূল্যায়ন-২০১৯’ প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরা হয়। একই সঙ্গে ২০১৭ সালের প্রতিবেদনের তথ্যও উপস্থাপন করা হয়। পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে তথ্যগুলো তুলে ধরেন মাউশির পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন শাখা সহকারী পরিচালক (এই কার্যক্রমের ফোকাল পয়েন্ট) লাইলুন নাহার। কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান। আরও উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বেলায়েত হোসেন তালুকদার, এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিক, মাউশির মহাপরিচালক নেহাল আহমেদ, মাউশির পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন শাখার পরিচালক মো. আমির হোসেন, উপপরিচালক সেলিনা জামান প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি