‘মাইজভাণ্ডার দরবার সর্বস্তরের মানুষের মিলনকেন্দ্র’

30

ত্বরীক্বায়ে ‘মাইজভাণ্ডারীয়ার বৈশ্বিক রূপদানকারী, সূফীসাধক শায়খুল ইসলাম হযরত গাউছুল ওয়ারা শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (ক.)’র ১১তম ওরশ শরীফ উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী সুন্নি সম্মেলনের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনায় আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে ১৮ আগস্ট শেষ হয়েছে। ফটিকছড়ির ‘মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে আন্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়ার উদ্যোগে সম্মেলনে সভাপতিত্ব ও আখেরি মুনাজাত পরিচালনা করেন সাজ্জাদানশীন মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.)। কর্মসূচিতে ছিল খতমে কুরআন, খতমে গাউছিয়া, হযরত মাইজভাণ্ডারী (ক.) ও হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (ক.) ক্বেবলার রওজায় গিলাফ চড়ানো, ভক্তদের ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প, রক্তের গ্রæপ নির্ণয়, যৌতুক ও মাদকের বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর, হুজুর কেবলার জীবনী আলোচনা।
খোশরোজ শরীফ মাহফিলের সমাপনী দিবসে সভাপতির বক্তব্যে হযরত শাহ্সূফী সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী বলেন, মাইজভাণ্ডার দরবার সর্বস্তরের মানুষের মিলনকেন্দ্র ও নিরাপদ ধর্মীয় আবাসস্থল। এখানে এসে ভাগ্য অন্বেষী, মুক্তি প্রত্যাশী, দুঃখ-দুর্দশায় নিমজ্জিত মানুষ মাইজভাণ্ডারী মহাত্মাদের কাছে সবিনয় আর্তি-আরজি পেশ করেন। সবাই নিজ নিয়ত ও ইচ্ছা অনুযায়ী আল্লাহর ওলীদের আধ্যাত্মিক করুণায় সিক্ত হন। দুই শতাধিক বছর থেকে মাইজভাণ্ডারী মহাত্মারা এতদঞ্চলে সুন্নিয়ত ও ত্বরীক্বতের চর্চায় পথিকৃৎ এর ভূমিকা পালন করছেন। আউলিয়ায়ে কেরামের বদৌলতেই এদেশে সুন্নিয়তের উজ্জ্বল শিখা প্রজ্বলিত রয়েছে।
ওরশ শরীফে বিশেষ অতিথি ছিলেন শাহ্জাদা সৈয়দ মেহবুব-এ-মইনুদ্দীন আল্-হাসানী, হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের মহাসচিব খলিফা অ্যাডভোকেট কাজী মহসীন চৌধুরী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আলমগীর খান, মাওলানা রুহুল আমিন ভূঁইয়া চাঁদপুরী, শাহ্ মোহাম্মদ ইব্রাহিম মিয়া, মাওলানা মুফতী খাজা বাকী বিলাহ আল আজহারী, মাওলানা আব্দুস ছাত্তার ছিদ্দিকী, মাওলানা বাকের আনছারী, খলিফা মুহাম্মদ আসলাম হোসাইন, হাবিবুর রহমান পায়েল, মাওলানা এইচএম মাকসুদুর রহমান, মাওলানা হাফেজ নঈম উদ্দিন, মাওলানা হাফেজ নাজের হোসাইন, গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি