মাইজভাণ্ডারী একাডেমির উলামা সমাবেশ ওয়াজের নামে ভাইরাল হওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা পরিহার করতে হবে

5

গাউসুল আযম হযরত মাওলানা শাহ্ সুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাÐারী (ক.) এর ১১৭তম ১০ মাঘ ওরশ শরিফ উপলক্ষে ‘এস জেড এইচ এম ট্রাস্ট’ এর ১২ দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে মাইজভাণ্ডারী একাডেমি আয়োজিত ‘৯ম উলামা সমাবেশ ২০২৩’ নগরীর মুরাদপুরস্থ আপন গার্ডেন কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।
মাওলানা মোহাম্মদ মুজিবুল হক এর সঞ্চালনায় ও মাওলানা গোলাম মোস্তফা শায়েস্তা খান আজহারীর সভাপতিত্বে সমাবেশের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘একবিংশ শতাব্দীতে আলিমদের নেতৃত্বের রূপরেখা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আল আজহার ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ’র অধ্যক্ষ ড. মুহাম্মদ নুরুন্নবী আজহারী। আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসার ফকিহ্ ড. মাওলানা কামাল উদ্দিন আজহারী, চবি আরবি বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ড. মাওলানা মোহাম্মদ জাফর উল্লাহ্, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবুল ফাতাহ মহিউদ্দিন, সুফি ফাউন্ডেশনের এক্সিকিউটিভ রিসার্চার মাওলানা মোহাম্মদ হোসাইন আজহারী, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লি. মুরাদপুর শাখার ব্যবস্থাপক মাওলানা মোহাম্মদ সেকান্দর আলম প্রমুখ।
সমাবেশ উপলক্ষে ম্যানেজিং ট্রাস্টির পক্ষে বাণী পাঠ করেন মাইজভাÐারী একাডেমির সদস্য সচিব অধ্যাপক জহুর উল আলম, শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ট্রাস্টের সচিব অধ্যাপক এ ওয়াই এমডি জাফর এবং সমাবেশের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন মাওলানা সৈয়দ আবু আহমদ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আলিমদের বক্তব্য কার্যকর ও ফলপ্রসূ করতে ধর্মীয় বিষয়ে অগাধ ব্যুৎপত্তি অর্জনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও চারিত্রিক বেশ কিছু গুণাবলি এবং কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকা এবং দাওয়ার গুরুত্ব, ইতিহাস, ক্ষেত্র, পদ্ধতি, শর্তাবলী ও উপস্থাপন শৈলি জানা অপরিহার্য। আলিমদের ধর্মীয় চিন্তা এবং বক্তব্যে সংস্কার প্রয়োজন। ওয়াজের নামে ভাইরাল হওয়ার যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে তা পরিহার করতে হবে। শুধুমাত্র ওয়াজ করা আলেমদের পেশা হতে পারে না। উলামায়ে কেরামের ভূমিকা থাকতে হবে দেশ, জাতি ও মানবতার জন্য। আলিমদের মর্যাদা অপরিসীম, তাই সমাজে তাদের দায়িত্বও অনেক। কাজেই আলিমদেরকে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সমাজ ও জাতির নেতৃত্ব দানের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। আলিমদের সময়োপযোগী জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি আত্মশুদ্ধি ও হিকমাহ অর্জনে ব্রত হতে হবে। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন শাহজাদা মাওলানা শেখ সাইফুল্লাহ্ ফারুকী, শাহ্জাদা সৈয়দ ফয়সাল আবেদিন, মাওলানা জাফর কামালী, মাওলানা মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন, মাওলানা মোজাম্মেল হোসেন কলন্দরি, মাওলানা নাজিম উদ্দীন, মাওলানা ইলিয়াস হোসাইনী, মাওলানা সৈয়দ রফিকুল ইসলাম তাহেরী, অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ শহিদুর রহমান, মাওলানা রিদওয়ানুল হক হোসাইনী, মাওলানা শেখ মোহাম্মদ জায়েদ কাদেরী, মাওলানা মিনহাজুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম নেছারিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা রফিক উদ্দিন সিদ্দিকী। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, নাতে রাসুল (দ.) ও মাইজভাÐারী কালাম পরিবেশন করেন হাফেজ শিহাব উদ্দিন, সৈয়দ জিয়া উদ্দিন, মোহাম্মদ আরমান উদ্দিন। মিলাদ-কিয়াম ও মুনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম ও মাওলানা কাজী মোহাম্মদ হাবিবুল হোসাইন। বিজ্ঞপ্তি