মাইগ্রেশন বন্ধের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট

9

ঢাকা প্রতিনিধি

গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তিতে মাইগ্রেশন পদ্ধতি বন্ধের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১০ দিনের মধ্যে শিক্ষা সচিব, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি রিটকারীদের মাইগ্রেশন পদ্ধতি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন আদালত। এর ফলে রিটকারী শিক্ষার্থীরা মাইগ্রেশন করে ভর্তি হতে পারবেন। তিন শিক্ষার্থীর করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বদরুদ্দোজা বাদল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার ও সহকারী এ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
গত ২০ আগস্ট পরীক্ষার কার্যক্রম সম্পন্ন হলেও গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওয়েবসাইট আপডেট করার নামে শিক্ষার্থীদের প্রায় দুই মাস ধরে অপেক্ষায় রেখেছেন। এরপর নভেম্বর মাস থেকে শুরু হয় ভর্তি কার্যক্রম। এখন পর্যন্ত ছয়টি মেধাতালিকায় বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন পদ্ধতি চালু থাকলেও সপ্তম মেধা তালিকা থেকে মাইগ্রেশন পদ্ধতি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে ৫৫ এর বেশি নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীরাও বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশনের সুবিধা নিতে পাচ্ছে না। একজন শিক্ষার্থী একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেলেও এখন মাইগ্রেশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা সচিব, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।