মহেশখালীতে বনভূমিতে তৈরি চিংড়িঘের উচ্ছেদ

2

মহেশখালী প্রতিনিধি

মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নে সরকারি প্যারাবনের বাইন গাছ কেটে শত বছরের পুরনো খালসহ কয়েকশ একর সরকারি জায়গা দখল করে ঘের নির্মাণ করে ভূমিদস্যুরা। উক্ত ঘেরটি কেটে দিতে বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মো. সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে গোরকঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিছুর রহমানসহ বনবিভাগের একটি টিম গতকাল বৃহস্পতিবার অভিযান চালায়। নির্মাণাধীন ঘেরটি অপসারণ করতে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে একাধিক অংশে বাঁধ কেটে দেয়। বনবিভাগ গোরকঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, জায়গাটি দুর্গম হওয়ায় বনবিভাগের লোকজন বুঝে উঠার আগেই স্কেভেটর দিয়ে প্যারাবন কেটে চিংড়িঘের নির্মাণ শুরু করে ভূমিদস্যুরা। খবর পেয়ে পুলিশসহ পরিদর্শন করা হয়। গতকাল অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ ঘটনায় বনআইনে ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে ২টি মামলা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, শত শত শ্রমিক ও স্কেভেটর দিয়ে প্যারাবনের কয়েক হাজার বাইন গাছ কেটে শত বছরের পুরানো খালসহ কয়েশ একর জায়গা দখল করে চিংড়িঘের ও লবণ মাঠ দখল করে ভূমিদস্যুরা। এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহাবউদ্দীনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি যেখানে ঘের করা হয়েছে ওখানে তাদের জমি রয়েছে বলে জানান।
আমবশ্যাখালীতে লবণ ও চিংড়ি চাষী জসিম ও আব্দুর রহিম জানান, ভূমিদস্যুরা শত বছরের পুরানো খালের মুখ বন্ধ করে দখল করার পর আমাদের লবণ বিক্রি করতে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। বিষয়টি প্রশাসন গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে খালটি পুনরায় খুলে দেওয়ার দাবির প্রেক্ষিতে খালের বাঁধটি অপসারণ করে বলে জানান মহেশখালী রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক সাদেকুল ইসলাম খাঁন।
এ বিষয়ে কক্সবাজার বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, সরকারি বনের জমিতে অবৈধভাবে ঘের নির্মাণ করা ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। জনবল সংকট থাকায় উচ্ছেদ অভিযানে যেতে দেরি হচ্ছে। যে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে তা অব্যাহত থাকবে। অভিযান পরিচালনা করে দখলমুক্ত করা হবে।