মহাসড়কে আলু ঢেলে চাষিদের প্রতিবাদ

7

ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে না পারায় ঢাকা-লালমনিরহাট মহাসড়কে আলু ঢেলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন রংপুরের কৃষকরা। গতকাল সোমবার নগরীর সাতমাথা এলাকায় ওই মহাসড়কে আলু ছিটিয়ে এ প্রতিবাদ জানান তারা। এ সময় বিদেশে আলু রপ্তানির দাবিও জানানো হয়।
গতকাল সোমবার সকাল থেকে কেউ ভ্যানে, কেউ মাথায় করে বস্তাভর্তি আলু এনে ওই মহাসড়কে ছিটিয়ে দিয়েছেন। নিজেদের সোনার ফসল ওই ছিটানো আলুর ওপর দিয়ে পরে ভ্যান-রিকশা চালিয়েও প্রতিবাদ জানান তারা। চাষাবাদের খরচই উঠছে না বলে ন্যায্যমূল্যের দাবি তাদের। তা নাহলে অনেকের পথে বসার উপক্রম হয়েছে। এতে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা রংপুর-কুড়িগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে চাষিদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে নিলে রাস্তায় গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ সময় চাষি আব্দুর নুর এবং খাজাবাহার জানান, আলু লাগানো থেকে পরিচর্যা ও কোল্ড স্টোরেজে রাখা পর্যন্ত তাদের প্রতিকেজিতে খরচ হয়েছে ১১ থেকে ১৩ টাকা। কিন্তু এখন মাঠে বিক্রি হচ্ছে ৯ থেকে ১০ টাকা। অনেকেই ঋণ নিয়ে চাষাবাদ করেছেন। তারা অসহায় হয়ে পড়েছেন। এছাড়া কৃষকদের মহাবিপদ থেকে উদ্ধারের সিন্ডিকেট চক্রকে নস্যাৎ করার আহব্বান জানান তারা।
রাসেল মিয়া, আরিপ্তল ইসলাম, মোবারক হোসেন ও মনসুর জানান, দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ আলু উৎপাদনকারী জেলা রংপুরের আলু চাষি আমরা এখন হতাশায়। দাম না বাড়লে কৃষক বাঁচবে না। তার ওপর ঘরে রাখা আলু যাচ্ছে পচে। আমরা আলু রপ্তানি করার ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছি। খবর বাংলানিউজের
রংপুর বিভাগীয় আলু চাষি কল্যাণ সমিতির সদস্য সচিব বিশ্বজিৎ কুমার জানান, এখন যেসব আলু ঘরে রাখা আছে সেগুলো পচে যাচ্ছে। কোল্ড স্টোরেজও প্তল। দামও কম। এমন অবস্থায় আলু বিদেশে পাঠানো না হলে চাষিরা আবারও আলু নিয়ে বিপাকে পড়বেন।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া ও রাজশাহী নিয়ে গঠিত উত্তরাঞ্চলের চারটি কৃষি জোনে আলুর আবাদ হয়েছে প্রায় পৌনে চার লাখ হেক্টর জমিতে। যেখান থেকে ৮০ লাখ টনেরও বেশি আলু উৎপাদন হওয়ার কথা বলছে ওই বিভাগ।