মহাসড়কের পাশে পশুর হাট বসানো যাবে না : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

9

পূর্বদেশ ডেস্ক

সড়ক-মহাসড়কের পাশে যেখানে যান চলাচল বিঘ্ন হতে পারে সেখানে কোনো ক্রমেই পশুর হাট বসানো যাবে না। এ নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে গতকাল সোমবার অনলাইনে আয়োজিত পশুর হাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি বাস্তবায়ন ও কোরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সার্বিক প্রস্তুতি পর্যালোচনার লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ নির্দেশ দেন। এছাড়াও আসন্ন ঈদুল আযহায় কোরবানির পশুর বর্জ্য ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপসারণ এবং কোরবানির স্থান পরিস্কার করার জন্য সকল সিটি কর্পোরেশন এবং সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।
যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে সারা দেশে পশুর হাট বসবে বলেও জানান তিনি। তাজুল ইসলাম বলেন, জেলা প্রশাসকরা পৌর মেয়র, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নিয়ে সভা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন। সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানরা সবাই তাঁদের স্ব স্ব অবস্থানে থেকে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক দায়িত্ব পালন করবেন।
মন্ত্রী বলেন, করোনার মহাসংকটেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে গত ঈদে পশুর হাট বসানো হয়েছিলো। এবছরের শুরুতে করোনা সংক্রমণের হার কম থাকলেও বেশ কয়েকদিন ধরে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে এবারের পশুর হাট বসাতে হবে। এব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে কোরবানির হাট বসানোর পাশাপাশি এ বছরও অনলাইনে পশু ক্রয়-বিক্রয়ের বিষয়টি অধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। পশুরহাট বাজার ব্যবস্থাপনা, দ্রæততম সময়ে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের জন্য জনপ্রতিনিধিদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও জনসাধারণ পাশে দাঁড়ানোর আহŸান জানান তিনি।
গত বছরের ন্যায় পশুরহাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি, দ্রুততম সময়ে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের ক্ষেত্রে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থা এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের কাজ করার আহŸান জানিয়ে তিনি বলেন, জননিরাপত্তা বিভাগ কোরবানির পশুর হাটে নিরাপত্তা বিধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং এ বিষয়ে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রদান করবেন।
সভায়, সকল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব/সচিববৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালকবৃন্দ অন্যান্যের মধ্যে অনলাইন সভায় অংশ নেন। খবর বাসসের