মহামারির শুরুর পর্যায়ে নামল শনাক্ত

3

দেশে করোনা ভাইরাসে দৈনিক সংক্রমণ কমতে কমতে এক বছর আগে মহামারি শুরুর পর্যায়ে নামল। নমুনা পরীক্ষা কিছুটা কমে যাওয়ার মধ্যে গত একদিনে ১৬৬ রোগী শনাক্তের খবর শনিবার দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর চেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত বছরের ১২ এপ্রিল, সেদিন ১৩৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল। তার এক মাস আগে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্তের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ মহামারির কবলে পড়ে। গত বছরের ১২ এপ্রিলের পরদিন ১৮২ রোগী শনাক্ত হয়েছিল। তারপর থেকে রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়তে থাকে। বছর গড়িয়ে এই বছরের শুরুতে সংক্রমণের হার কমলেও তা ২০০ এর নিচে নামেনি। এরপর ১৬ মে ৩৬৩ রোগী শনাক্তের পর ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে রোগীর সংখ্যা বাড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে। ২৮ জুলাই রেকর্ড সংখ্যক ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। গত সেপ্টেম্বর থেকে দৈনিক শনাক্ত রোগী আবার কমছে। নতুন ১৬৬ জনকে নিয়ে দেশে শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ১৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩২৮ জনে। খবর বিডিনিউজের।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৮ জন কোভিড রোগী। তাদের নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৭ হাজার ৮৬২ জন। এই সময়ে ১৮১ জন কোভিড রোগী সেরে উঠেছেন, তাদের নিয়ে সুস্থ হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়াল ১৫ লাখ ৩৩ হাজার ১৪৭।
অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এথন দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হয়ে আছেন ৮ হাজার ৩১৯ জন। অথচ দুই মাস আগেও এই সংখ্যা ১ লাখের উপর উঠেছিল।
গত একদিনে সারা দেশে মোট ১৩ হাজার ১০৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৬৬ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ে। ফলে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার কমে দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ২৫ শতাংশ, যা আগের দিন ১ দশমিক ৭১ শতাংশ ছিল।
এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ৩ লাখ ৩২ হাজার ৬৪৪টি নমুনা। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ১৯ শতাংশ; মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
গত এক দিনে শনাক্ত রোগীর মধ্যে ৮৮ জনই ঢাকা জেলার, যা সারা দেশের মোট শনাক্তের অর্ধেকের বেশি।
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত ৫ আগস্ট ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
গত একদিনে যারা মারা গেছেন, তাদের অর্ধেক অর্থাৎ চারজন ঢাকা জেলার বাসিন্দা ছিলেন। ২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং ১ জন করে মোট ২ জন খুলনা ও সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। রাজশাহী, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে কোনো নতুন রোগী পাওয়া যায়নি।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ৫ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ১ জন করে মোট ৩ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, ৪১ থেকে ৫০ বছর ও ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিলেন।
তাদের মধ্যে ছয়জন পুরুষ ও দুইজন নারী। ৭ জন সরকারি হাসপাতালে ও ১ জন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।