মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কঠোর প্রশাসন

54

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারের পরিবেশবান্ধব মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সংসদ সদস্য, প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা জঙ্গল সলিমপুর পরিদর্শন করেছেন। গতকাল রোববার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সীতাকুন্ডের সংসদ সদস্যসহ প্রশাসন, পুলিশ ও র‌্যাবের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শতাধিক গাড়ির বহর নিয়ে সেখানে যান। কর্মকর্তারা সেখানে পৌঁছুলে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিবাদন জানান। স্থানীয়দের এমন উদারতার কারণেই অনেকটা নমনীয় অবস্থানে ছিলেন পরিদর্শনে যাওয়া কর্মকর্তারা। যদিও সেখানে যাওয়ার আগেই উচ্ছেদ অভিযানের প্রস্তুতি নিয়েছিল জেলা প্রশাসন। এর আগে আলীনগরে কেটে ফেলা সড়কটি সংস্থার করা হয়। প্রশাসনের যাতায়াতে বাধা দিতে এই সড়কটি কেটেছিল ভূমিদস্যুরা।
পরিদর্শন শেষে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা বিভিন্ন স্তরের সরকারি কর্মকর্তারা সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। পুরো জায়গাটা আমরা দেখেছি। এখানে কীভাবে পুরো পাহাড় কেটে সাবাড় করে পরিবেশ বিপর্যস্ত করা হয়েছে। এখানের পুরোটাই সরকারের খাস জায়গা। যারা প্লট বিক্রি করেছে তারা পুরোটাই অবৈধভাবে করেছে। কীভাবে এ সরকারি জায়গা উদ্ধার করা যায় সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবো।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, জঙ্গল সলিমপুর নিয়ে সরকারের যে মহাপরিকল্পনা রয়েছে সেটি নিয়ে জেলা প্রশাসক দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও তাকে সহযোগিতা করছেন। সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এটি পরিদর্শন করে গেছেন। আমরা আজকে এখানে এসেছি এখানকার ভৌগোলিক অবস্থা দেখার জন্য। এখানের জনপথ কী রকম সেটি দেখে সরকারের পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবো। প্রশাসন যেভাবে বলবে পুলিশ সেভাবে কাজ করবে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, জঙ্গল সলিমপুরে সরকারের পরিবেশবান্ধব মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে শীর্ষ কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন। এখানে কোনো ধরনের অবৈধ স্থাপনা রাখা যাবে না। সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। আমরা ধীরে ধীরে সে কাজটিই করবো। ইতোমধ্যে অনেক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। অবৈধ কেউ জঙ্গল সলিমপুর ও আলীনগরে থাকতে পারবে না।
পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে সীতাকুন্ডের সংসদ সদস্য দিদারুল আলম, পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক, র‌্যাব-৭ এর সিইও লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ, সীতাকুন্ডের উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।