‘মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে বাঁচান’

4

করোনা ভাইরাসের কারণে গৃহবন্ধী নগরবাসী মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ ও মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকার কথা জানিয়ে গত ১৫ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীকে মশা নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও চলমান ক্র্যাশ প্রোগ্রামকে মনিটরিং করে নগরবাসীকে মশার উপদ্রব থেকে বাঁচানোর আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম দারুল মুস্তফা মডেল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মুহাম্মদ নঈমুল ইসলাম। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মশার কামড়ে রীতিমতো অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। নগরীতে মশার অত্যাচারে অস্থির নগরবাসী। দিন নেই, রাত নেই প্রতিমুহূর্তেই চলছে এদের অত্যাচার। বাসাবাড়িসহ সর্বত্রই মশার উপদ্রব। মশার অত্যাচারে বাদ যাচ্ছে না হাসপাতালগুলোও। মশার উৎপাত এত বেশি যে কয়েল, স্প্রে বা মশা মারার ব্যাট কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। মশার কামড়ে যেমন অতিষ্ঠ নগরবাসী, তেমনি বাড়ছে মশাবাহিত রোগের ঝুঁকিও। ফলে বিরাজ করছে জনমনে আতঙ্ক। করোনা আতঙ্ক নিয়ে লকডাউনে বাধ্যতামূলক ঘরে থাকা মানুষের মাঝে মশাবাহিত রোগ নিয়েও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিগত বছর গুলোর মত চিকনগুনিয়া বা ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়লে করোনা আতংকের মাঝে নতুন সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার আশংকা প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, করোনার মাঝে মশাবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়লে সরকারি-বেসরকারী স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম ভেঙ্গে পড়তে পারে। বিনা চিকিৎসায় মরতে হতে পারে নগরবাসীকে। মশা নিধনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের চলমান ক্র্যাশ প্রোগ্রাম প্রকৃত অর্থে সব ওয়ার্ডে পরিচালনা হচ্ছে কিনা তা নিরবচ্ছিন্নভাবে মনিটরিং ও ক্র্যাশ প্রোগ্রামে লোকবল বৃদ্ধি দ্রুততম সময়ে মশার উপদ্রব বন্ধে সিটি মেয়রের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।