মরুর বুকে বাংলা ঝড়

31

প্রথম ম্যাচে ডেকান গ্ল্যাডিয়াটার্স এর কাছে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলা টাইগার্স। শুধুমাত্র জয়েই ফেরেনি, কর্ণাটকা টাস্ককার্সকে হারিয়ে গ্রুপের সেরা দল হিসেবে টুর্নামেন্টের শিরোপার লড়াইয়ে নিজেদেরকে দাফটের সাথে টিকিয়ে রেখেছে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি চট্টগ্রামের ক্রিকেট টিম বাংলা টাইগার্স। আজ তারা গ্রুপ লীগের নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলবে দিল্লীর বুলসের বিরুদ্ধে।
মার মার কাট কাট ক্রিকেটর নতুন সংস্করণ টি-১০ ক্রিকেটে টস হেরে আগে ব্যাট করে ১১৪ রানের টাস্কার্সের মাঝারি স্কোরকে তাড়া করতে গিয়ে শুরুতেই মারমুখী হন ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান আন্দ্রে ফ্লেচার। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে থাকেন রিলি রুশো। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে টাস্কের বোলার রিমিংটনের ওভারে ২৫ রান নিয়ে ম্যাচ থেকে টাস্কর্সকে সটকে দেয়। টানা চার ছক্কায় ওই ওভারে দলীয় অর্ধশত পূরণ করে টাইগার্স। চতুর্থ ওভারে স›দ্বীপ লামিচানকে উইকেট ছেড়ে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হন ফ্লেচার। তার আগেই জয়ের ভীত গড়ে দেন ফ্লেচার। আউট হওয়ার আগেই মাত্র ১৫ বলে এক চার ও ৫ ছক্কায় করেন ৪০ রান। পরের ওভারে দলীয় ৬৫ রানে রুশোকে সাজ ঘরে ফেরান আহমেদ রেজা। আউট হওয়ার আগে রুশো উইলো থেকে আসে ২২ রান। ৬ষ্ঠ ওভারে কলিন ইনগ্রাম রান আউট ও থিসেরা পেরেরা উড়িয়ে মারতে গিয়ে সাজ ঘরে ফিরে গেলেও আগের ম্যাচের পূর্ণাভিত্তি তখন চোখ রাঙাতে থাকে পরাজয়ের। ইংল্যান্ডের উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান মুর ও ডেভিট উইস টাইগার্সের জয় নিশ্চিত করে। নবম ওভারে ৫ উইকেটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলা টাইগার্স।
এরআগে টসে হেরে কর্ণাটক টাস্কার্স ব্যাটিংয়ে নামেন। টাস্কার্স দু ওপেনার হাশিম আমলা ও জনশন চার্লস শুরু থেকেই আগ্রাসি ভুমিকায় অবতির্ণ হন। তাদের মারমুখী ব্যাটিংয়ে মাত্র ৪.২ ওভারে দলীয় অর্ধশত পূর্ণ করে টাস্কার্স। মাঝে মাত্র ২৫ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূরণ করেন। দলীয় ৯৭ রানে কেভিন কথিগোডার বলে ডেভিট ওয়েজের হাতে ক্যাচ বন্দি হয়ে সাজ ঘরে ফেরেন। নির্ধারিত ১০ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে টাস্কার্স ১১৪ রান সংগ্রহ করে।
স্কোর :
টাস্কার্স-১১৪/১, চার্লস-৫৭, আমলা-৪৭*,
টাইগার্স- ফ্লেচার- ৪০, মুর- ২৮*, রুশো-২২, ফ্্রাইলিংক-১৩
ফলাফল: বাংলা টাইগার্স ৫ উইকেটে জয়ী।