মরদেহ আনতে যেতে পারবেন পরিবারের একজন

30

ক্রাইস্টচার্চে দুই মসজিদে হামলায় নিহত বাংলাদেশিদের মরদেহ হস্তান্তরের জন্য পরিবারের একজন সদস্যকে সেখানে নেবে নিউজিল্যান্ড সরকার। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম গতকাল রোববার বলেন, নিউজিল্যান্ড সরকারের তরফ থেকে বাংলাদেশ সরকারকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যারা বাংলাদেশ থেকে যাবেন, তারা স্বজনের মরদেহ নিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন। ময়নাতদন্ত ও পরিচয় শনাক্ত করার কাজ শেষে রোববারই মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর শুরু হয় বলে জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অ’ডুর্ন।
শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের সময় ক্রাইস্টচাচের দুটি মসজিদে সেমি অটোমেটিক রাইফেল দিয়ে গুলি চালিয়ে ৫০ জনকে হত্যা করে বর্ণবাদী এক অস্ট্রেলীয় যুবক।
হামলার ঘটনার সময় একটি মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন নিউজিল্যান্ড সফরে থাকা বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কয়েকজন সদস্য। অল্পের জন্য তারা প্রাণে বেঁচে যান। খবর বিডিনিউজের
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ওই হামলায় মোট চারজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির কাছ থেকে তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ড. আবদুস সামাদ ও হোসনে আরা আহমেদের পরিচয় নিউজিল্যান্ডের পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
লিংকন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কৃষিবিদ সামাদকে তার পরিবার ক্রাইস্টচার্চেই দাফন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে তার বড় ছেলে সেখানে যাবেন।
নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের অনারারি কনসাল শফিকুর রহমান জানান, আহত অবস্থায় যারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাদের মধ্যে লিপি নামের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার আরেক দফা অস্ত্রোপচার করা হতে পারে। তবে পায়ে গুলিবিদ্ধ মুতাসসিম ও শেখ হাসান রুবেল এখন শঙ্কামুক্ত।
জরুরি প্রয়োজনে +৬৪২১০২৪৬৫৮১৯ নম্বরে ফোন করে অনারারি কনসালের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে। এছাড়া +৬১৪২৪৪৭২৫৪৪, +৬১৪৫০১৭৩০৩৫ নম্বরে ফোন করেও তথ্য পাওয়া যাবে।