মন্ত্রীদের বহনকারী বিমান অবতরণের সময় ইয়েমেনের এয়ারপোর্টে বিস্ফোরণ

11

ইয়েমেনের আডেন বিমানবন্দরে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। সৌদি সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন সরকারের সদস্যদের বহনকারী একটি বিমান অবতরণের সময় এই বিস্ফোরণ ও গোলাগুলি হয়েছে। আল আরাবিয়ার একজন সংবাদদাতা জানিয়েছেন, মর্টার শেলের হামলায় বহু মানুষ হতাহত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে সরকারের কোনও মন্ত্রী হতাহত হননি। রুশ সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক নিউজ নিজস্ব সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, বিস্ফোরণে অন্তত পাঁচ জন নিহত এবং আরও ২০ জন আহত হয়েছে।
জানা গেছে ইয়েমের নবগঠিত সরকারের সদস্যরা একটি বিমানে করে বুধবার সৌদি আরব থেকে আডেন এয়ারপোর্টে পৌছানোর কিছুক্ষণের মধ্যে বড় বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়। সোমালি গার্ডিয়ান নামে একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ইয়েমেনের নবগঠিত মন্ত্রীদের বহনকারী বিমানটি পৌঁছানোর পরই তিনটি বড় বিস্ফোরণ ও বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। স্কাই নিউজের খবরে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণের আগে এয়ারপোর্টে ড্রোন ওড়ার শব্দ শোনা যায়। বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির পর প্রধানমন্ত্রী মঈন আব্দুলমালিকসহ মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিরাপদে আডেন শহরে প্রেসিডেন্টের বাসভবনে পৌঁছে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা এবং বিভিন্ন সৌদি সংবাদমাধ্যম।
উপ্লেখ্য, ২০১৫ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী সানা দখলে নেয় দেশটির ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীরা। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন ক্ষমতাচ্যুত হাদি। হুথির ক্ষমতা দখলের পর থেকেই হাদির অনুগত সেনাবাহিনীর একাংশ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। ২০১৫ সালের মার্চে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামের সামরিক আগ্রাসন শুরু করে সৌদি-আমিরাতের সামরিক জোট। স্কুল, বাজার ও হাসপাতাল, জানাজার নামাজসহ বিভিন্ন স্থানে সৌদি জোটের বিমান হামলায় নিহত হয় লক্ষাধিক বেসামরিক মানুষ। আহত হয় আরও অনেকে। দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছায় ইয়েমেন।