মধ্য আমেরিকায় ক্ষুধার্ত বাড়ছে হু হু করে : জাতিসংঘ

17

অর্থনৈতিক সংকটে পর্যদুস্ত মধ্য আমেরিকার দেশ এল সালভাদর, গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস ও নিকারাগুয়াতে দুই বছরে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা চারগুণ হতে যাচ্ছে বলে জাতিসংঘের একটি সংস্থার তথ্যে উঠে এসেছে। মঙ্গলবার জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) এ তথ্য প্রকাশ করেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়েছে, চলতি বছর মধ্য আমেরিকার চারটি দেশের প্রায় ৮০ লাখ মানুষ ক্ষুধার্ত থাকার অভিজ্ঞতা পেতে যাচ্ছে; ২০১৮ সালে সংখ্যাটি ২২ লাখ ছিল। “কোভিডজনিত অর্থনৈতিক সংকট এমনিতেই বাজারের তাকে থাকা খাবারগুলোকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের নাগালের বাইরে নিয়ে গেছে; এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জোড়া ঘূর্ণিঝড় এতা ও আয়োটার আঘাত,” এক বিবৃতিতে বলেছেন ডব্লিউএফপি’র লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের পরিচালক মিগুয়েল ব্যারেটো। তার উল্লেখ করা ঘূর্ণিঝড় দুটো গত বছরের নভেম্বরে মধ্য আমেরিকায় আঘাত হেনেছিল। “আমরা খুবই অল্প পরিমাণে খাচ্ছি, সেগুলোও মানুষজন দিচ্ছে,” বলেছেন গত বছর হন্ডুরাসের বন্যাপ্লাবিত শহর লিমার একটি বুলেভার্ড (প্রশস্ত সড়ক) সংলগ্ন এলাকায় ছেলে ও নাতি-নাতনিদের নিয়ে থাকা ৭০ বছর বয়সী মেরিনা রোসাদো। তিনি জানান, সড়কে পড়ে থাকা বোতল ও ক্যান সংগ্রহ করে সেগুলো রিসাইকেল কোম্পানির কাছে বিক্রি করে তাদের দিন চলত। মহামারীজনিত বিধিনিষেধের কারণে বোতল ও ক্যান সংগ্রহ সীমিত হয়ে পড়েছে। এতা ও আয়োটায় ঘর ধ্বংস হওয়ার পর পরিবারটি পড়েছে আরও বিপাকে। মধ্য আমেরিকার মধ্যাঞ্চল বরাবর ‘শুষ্ক করিডরে’ ক্ষুধা পরিস্থিতি বেশ খারাপ; জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সেখানে খরার মাত্রাও বেড়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডব্লিউএফপি’র এ সংক্রান্ত জরিপে অংশ নেওয়াদের ১৫ শতাংশই দেশান্তরি হওয়ার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করছেন বলে জানিয়েছেন; এ সংখ্যা ২০১৮ সালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।