‘মধ্যবিত্তের আস্থা’ গুলজার টাওয়ারে

23

নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নগরীর শপিং মলগুলোতে ক্রেতাসমাগম বেড়েছে। গত দুই বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে মানুষ ঈদের কেনাকাটা করতে পারেনি। এবার করোনার প্রকোপ কমে আসায় যেন প্রাণ ফিরেছে নগরীর ছোট বড় শপিং মলগুলোতে। শিক্ষাপাড়া খ্যাত চকাবাজারের অন্যতম শপিং সেন্টার গুলজার টাওয়ারেও ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।
অধিকাংশ কোচিং সেন্টার চকবাজার এলাকায় হওয়ায় সারাবছর তরুণ-তরুণীদের পদচারণায় মুখর থাকে গুলজার টাওয়ার। ঈদকে সামনে রেখে তরুণদের আনাগোনা আরও বেড়েছে। ঈদ উপলক্ষে ব্যবসায়ীরাও ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে নজরকাড়া পণ্যসামগ্রী মজুদ করেছেন। মার্কেটিতে ২৭০টি দোকান রয়েছে। নারী-পুরুষের বিভিন্ন পোশাকের পাশাপাশি এই মার্কেটে কিডস আইটেম এবং প্রসাধানী সামগ্রীর অসংখ্য দোকান রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে মার্কেটিতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে রাত ১১টায় মার্কেট বন্ধ করা হলেও ঈদ উপলক্ষে সময় আরও বাড়ানো হয়েছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য মার্কেটে পর্যাপ্ত কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। মার্কেটের প্রতিটি প্রবেশমুখে রয়েছেন ২ জন করে নিরাপত্তা কর্মী।
ব্যবসায়ীরা জানান, গত দুই বছর করোনা মহামারির কারণে ব্যবসা হয়নি। সে সময় দোকান খুলতে পারলেও ক্রেতা ছিল কম। এ বছর করোনার প্রকোপ কমে আসায় ক্ষতি কাটিয়ে উঠার আশা করছেন তারা। তবে ঈদ উপলক্ষে ক্রেতা আকর্ষণে কোনো ধরনের কুপনের ব্যবস্থা করা হয়নি বলে জানান তারা।
মাজেদুল ইসলাম নামে একজন ক্রেতা জানান, সপ্তাহের বেশ কয়েকদিন এখানে কোচিং করতে আসি। আজকেও (রোববার) কোচিং করতে এসেছি। একইসাথে ঈদের জন্য একটা পাঞ্জাবি সেলাই করতে দিলাম। তবে ঈদ উপলক্ষে দাম একটু বাড়তি রাখা হচ্ছে।
ব্লু জিন্সের প্রোপাইটর জনি খান পূর্বদেশকে বলেন, রোজার প্রথম দিকে ক্রেতার উপস্থিতি কিছুটা কম ছিল। তবে সময় বাড়ার সাথে সাথে ক্রেতাসমাগম বেড়েছে। সকালের দিকে ক্রেতা কম থাকলেও ইফতারের পর ভিড় বাড়ে। আমাদের দোকানে পর্যাপ্ত জেন্টস আইটেম রয়েছে। গত দুই বছর তেমন ব্যবসা হয়নি। এ বছর হয়তো সে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবো।
রেমন্ড টেইলার্সের প্রোপাইটর প্রদীপ সেন জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও এখনও পর্যাপ্ত অর্ডার পাইনি। রমজান মাস অর্ধেক পেরিয়ে গেছে, কাক্সিক্ষত অর্ডার হয়নি। আমরা ২০ রমজান পর্যন্ত অর্ডার নিব। দেখা যাক কি হয়।
গুলজার টাওয়ার ব্যবসায়ী সমিতির আহব্বায়ক মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান পূর্বদেশকে বলেন, আমাদের মার্কেটের পাশেই রয়েছে পুলিশ বক্স। তাই মার্কেটে চুরি-ছিনতাইয়ের মত অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটার সুযোগ নেই। এছাড়াও আমাদের নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মী রয়েছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য সার্বক্ষণিক কর্মচারী নিয়োজিত রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে পর্যাপ্ত আলোকসজ্জার ব্যবস্থা। রমজান উপলক্ষে ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা যাতে নির্বিঘেœ বেচাকেনা করতে পারেন সে লক্ষ্যে ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।