নিজস্ব প্রতিবেদক
ফার্মাসিস্ট না থাকা, শুল্ক ফাঁকি দেওয়া, নকল প্রসাধনী সামগ্রী ও ভেজাল ওষুধ বিক্রির অভিযোগে নগরীতে দুই প্রতিষ্ঠানকে এক লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল কাজির দেউড়ি ও জিইসি মোড়ে পৃথক অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়। জেলা প্রশাসন, বিএসটিআই ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এ যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত। অভিযানে কাজির দেউড়ির ভিআইপ টাওয়ারের দোতলায় ভ্যারাইটিজ ইউনানি দাওয়াখানা নামের দোকান থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ যৌন উত্তেজনাকর ওষুধ, ডায়াবেটিস রোগের ওষুধ, পাইলস, সিফিলিস, গনোরিয়া রোগের ওষুধসহ বিভিন্ন মলম ও ব্যথানাশক তেল জব্দ করা হয়। এসব ওষুধের গায়ে ‘ভ্যারাইটিস ইউনানি’ লেবেল লাগানো ছিল। দোকানটি থেকে প্রায় ২ লাখ টাকার অবৈধ মালামাল জব্দ করা হয়। এসময় দোকান মালিক ছিলেন না। ম্যানেজার এসব ওষুধ তৈরির কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এছাড়া দোকানটিতে অনুমোদন না নিয়েই বিএসটিআইয়ের ভুয়া লোগো ব্যবহার করে মধু বিক্রি করতে দেখা যায়। এসময় দোকানের ম্যানেজারকে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে জিইসি মোড়ের কিউপিএস নামক মডেল ফার্মেসিকে ফার্মাসিস্ট না থাকা, শুল্ক ফাঁকি দেওয়া ও নকল প্রসাধন সামগ্রী বিক্রির দায়ে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত জানান, ভ্যারাইটিজ ইউনানি দাওয়াখানার ওষুধ তৈরির কোনো অনুমতি ছিল না। তারা বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না নিয়ে লোগো ব্যবহার করে মধু বাজারজাত করেছিলেন। এসব অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজারকে এক লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া জিইসিতে পৃথক আরেক অভিযানে ফার্মেসিতে ফার্মাসিস্ট না থাকা, শুল্ক ফাঁকি দেওয়া ও নকল প্রসাধনী বিক্রির অপরাধে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
