পূর্বদেশ ডেস্ক
এদিকে গাইবান্ধার উপ-নির্বাচনে মাঝপথে ভোটগ্রহণ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষমতাসীনদের সমালোচনার মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদ সম্মেলনে এসে ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের ফিরিস্তি তুলে ধরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা হঠকারী কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি। এই সিদ্ধান্ত সিইসি গ্রহণ করেনি, কমিশন গ্রহণ করেছে। সিইসি কোনো সিদ্ধান্ত এককভাবে গ্রহণ করেন না; করতেও পারেন না। ঢাকা থেকে সিসিটিভিতে ভোটকেন্দ্রের পরিস্থিতি দেখার পর ভোটকক্ষে নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে আনতে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারপরও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার ‘কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি’ বলে জানান সিইসি। ওই পরিস্থিতিতে ‘সর্বসম্মত’ সিদ্ধান্তে ভোট বন্ধ করার কথা জানিয়ে হাবিবুল আউয়াল বলেন, কমিশন সদস্যরা বসে আলাপ-আলোচনা করে চিন্তাভাবনা করে যৌথভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিবিড়ভাবে প্রত্যক্ষ করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা ও মো. আলমগীর।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন মহলের প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে হয়ত জনমনে কিছু বিভ্রান্তি থাকতে পারে। আমরা টকশোতে শুনেছি কেউ আনন্দিত হয়েছে, কেউ ব্যথিত হয়েছে, কেউ প্রতিবাদ করেছেন, কেউ সমবেদনা জানিয়েছেন। আমাদের মনে হয়েছে। এতে করে কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে। সেই বিভ্রান্তি অপলোপনের জন্য কিছু ব্যাখ্যা আমাদের দেওয়া দরকার।
তিনি বলেন, আমরা বলতে চাই যে আমরা কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত নিই নাই। সকলকে বুঝতে হবে, এটা কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা নিগুঢ়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে তারপরে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
