ভোট চুরি করতে পারবে না বলে আগামী নির্বাচন নিয়ে শঙ্কিত বিএনপি

27

পূর্বদেশ ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভোট চুরি করতে পারবে না বলে আগামী নির্বাচন নিয়ে শঙ্কিত বিএনপি। এমনকি স্বচ্ছভাবে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেই তারা শঙ্কিত। জনগণ সচেতন, তাদের ভোটের অধিকার কেউ কেড়ে নিলে আন্দোলন করে তা আদায় করে নেবে। গতকাল শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন-বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন।
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করতে জাতিসংঘকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহবান জানিয়েছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান শেখ হাসিনা।
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নতুন সংকটের টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, এবারের জাতিসংঘের অধিবেশনে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ সব সভায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে। ৭৭তম অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের সক্রিয় অংশগ্রহণ বহুপাক্ষিক ফোরামে বাংলাদেশের অবস্থান যেমন আরও সুদৃঢ় করেছে, তেমনি বাংলাদেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রকে বিস্তৃত করবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশাবাদী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনের অংশগ্রহণ করতে গত ১৯ সেপ্টেম্বরে আমি নিউ ইয়র্কে আসি। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের হাই লেভেল উইক চলাকালে আমি মোট ৮টি উচ্চ পর্যায়ের সভা ও সাইড ইভেন্টে অংশ নিই। এ ছাড়া রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ১২টি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিই।
জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের কারণে সৃষ্ট খাদ্য ও জ্বালানি সংকট এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তির জন্য অতীতের যেকোনও সময়ের চেয়ে অধিক পারস্পরিক সংহতি প্রদর্শন করা প্রয়োজন। এসব সংকটের কারণে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশসমূহ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সংকট ও বিরোধ নিষ্পত্তি করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানাই। সংকট মোকাবিলায় জাতিসংঘকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমি বলেছি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত শান্তি ও উন্নয়নভিত্তিক পররাষ্ট্রনীতি বর্তমান সংকট নিরসনে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমারে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও চলমান সংঘাত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনকে দুরূহ করে তুলেছে। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করতে জাতিসংঘকে কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য আহবান জানিয়েছি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমন্ত্রণে একটি রিসেপশনে অংশগ্রহণ করার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্টকে আমি বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছি।