ভোটের পরিবেশ নষ্ট করলে ব্যবস্থা

34

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নিরপেক্ষ থেকে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান। মনোনয়ন পত্র বিতরণ, যাচাই-বাছাই, প্রত্যাহার, প্রতীক বরাদ্দের পর করোনার প্রকোপ বাড়লে স্থগিত হয় নির্বাচন। পরে আবারো নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হলে নির্বাচনী কর্মকান্ড শুরু হয়। এরপর থেকে ক্লান্তিহীনভাবে নির্বাচনী কর্মকান্ডে সক্রিয় ছিলেন নির্বাচন কমিশনের এই কর্মকর্তা। গতকাল সন্ধ্যায় নির্বাচনের সার্বিক বিষয় নিয়ে পূর্বদেশ প্রতিবেদকের সাথে কথা বলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
এসময় রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘ছোটখাট কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বড়ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। আমরা যেখানেই ঘটনার খবর পেয়েছি তাৎক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পাঠিয়েছি। এখনো পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ শান্ত আছে। আশা করি, ভোটাররা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিবে। ভোটের দিন সবখানেই একটা উৎসবের আমেজ থাকবে। সকলকে নির্ভয়ে ভোট প্রদানে কেন্দ্রে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘কোন সন্ত্রাসী, অস্ত্রধারী কিংবা বহিরাগতদের নির্বাচনী এলাকা ত্যাগ করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যদি কেউ শান্তিপূর্ণ ভোটের পরিবেশ নষ্টের চেষ্টা চালায় তাদেরকে তাৎক্ষণিকভাবে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। যেকোন ধরনের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে।’
মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ‘আজকে (গতকাল) মধ্যরাত ১২টা থেকে সব প্রচারণা বন্ধ থাকবে। সকল ধরনের প্রচার-প্রচারণা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে বিজিবি, র‌্যাব, আনসার পুলিশের সকল টিম কাজ করছে। ৬৯জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে আছে। আজ (গতকাল) থেকে ২০জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নামানো হয়েছে। নির্বাচনের নিরাপত্তায় ২৫ প্লাটুন বিজিবি, ৪১টি র‌্যাবের টিম, সাত হাজার ৭৮২ জন পুলিশের সদস্য, চারহাজার আনসার সদস্যসহ গোয়েন্দা পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন মাঠে থাকবে।’
প্রার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা যেসব অভিযোগ পেয়েছি তার বেশিরভাগই নিষ্পত্তি করেছি। জটিল অভিযোগগুলো হাতে পেয়ে প্রতিবেদন দাখিলে তাৎক্ষণিক পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছি। ইতোমধ্যে আমাদের লেখনীর কারণে অনেক অভিযুক্ত ব্যক্তি গ্রেপ্তারও হয়েছেন।’
ইভিএম নিয়ে বিভ্রান্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলেছেন। কেউ ইভিএমের সমস্যা প্রমাণ করতে পারেনি। এরপরেও কেউ যদি ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলে তারা আমাদের কাছে প্রমাণ নিয়ে আসতে পারেন। আমরা বিভিন্ন সময় কেন্দ্রে কেন্দ্রে মক ভোটিং করেছি। ইভিএমকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চাইলে সেখানেও গিয়ে প্রমাণ দিতে পারতো। আবার কেউ প্রমাণ দেয়ার চ্যালেঞ্জ দিলে ইভিএম মেশিন বাসাতেও পৌঁছে দিব।’
নির্বাচনে গাড়ি চলাচল প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘দূরপাল্লার গাড়ি চলবে। কোনধরনের মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না। নগরের মধ্যে ট্রাক, লরি, দূরপাল্লার গাড়ি ঢুকতে পারবে না।’