ভোজ্যতেলের পরিবর্তে বাদাম তেল ব্যবহারের পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

42

ভোজ্যতেলের দামবৃদ্ধির ফলে বাদাম তেল ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমাদের দেশে এক সময় বাদামের তেল হতো। একেবারে ছোট ছোট আকারে এলাকাভিত্তিক বাদাম দিয়ে তেল হতো। সেই তেল দিয়েই ভাজা-পোড়া হতো। আমাদের সেদিকে আবার দৃষ্টি দিতে হবে।
গতকাল শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টার পর গণভবনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদেও বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। এরপর আওয়ামী লীগ লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। এতে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সংসদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
তেল উৎপাদনে আরও কী পদ্ধতি আছে- সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার আহŸান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশে ভালো সরিষা হচ্ছে, তিল হচ্ছে। অন্যান্য যেগুলো তেল হয়, যেমন- ধানের কুড়া বা তুষ থেকে তেল হচ্ছে। এভাবে তেল উৎপাদনে কোন কোন পদ্ধতি নেওয়া যেতে পারে সেটা নিয়ে আমাদেরও নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। মনে রাখতে হবে, বিশ্বব্যাপী যে মন্দা দেখা দিচ্ছে এটা খুব ব্যাপকভাবে বাড়তে পারে। তার প্রভাব আমাদের উপরও আসতে পারে। কাজেই আমাদের এখনই সতর্ক হতে হবে। জাতির পিতা বলেছিলেন, আমার মাটি আর মানুষ আছে, আমি তা দিয়েই তো দেশ গড়ব। আমাদের সেই মাটিও আছে, মানুষও আছে। আমরা পারব না কেন? আমরা একটু উদ্যোগ নিলেই পারি। সেদিকে আমাদের নজর দিতে হবে, ব্যবস্থা নিতে হবে।’ খবর বার্তা সংস্থার
তিনি বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে আমদানির উপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের পর ইউরোপ-আমেরিকা ও ইংল্যান্ডের অর্থনীতিতেও এর প্রভাব পড়ছে। সারাবিশ্বে এর প্রভাব পড়ছে। আমরা এর থেকে বাইরে না। আমাদের কিছু জিনিস তো উৎপাদন হয় না, বাইরে থেকে আনতে হয়। পেঁয়াজের সমস্যা হলো। পেঁয়াজ আমরা উৎপাদন করতে পারি। সেটা নিয়ে যখন ব্যবস্থা নিলাম পেঁয়াজের কান্না আর কাঁদতে হলো না। এরকম একটা অবস্থা আমরা আনতে পারছি। এখন আসছে ভোজ্যতেল। আমি মনে করি, আমরা যদি উদ্যোগ নিই সমাধান করতে পারব। আমাদের দেশে এক সময় বাদামের তেল হতো। একেবারে ছোট ছোট আকারে এলাকাভিত্তিক বাদাম দিয়ে তেল হতো। সেই তেল দিয়েই ভাজা-পোড়া হতো। আমাদের সেদিকে আবার দৃষ্টি দিতে হবে।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী লন্ডনের উদাহরণ টেনে বলেন, ‘লন্ডনে রেশন করে তেল দেওয়া হচ্ছে। সেখানে এক লিটারের বেশি কেউ তেল কিনতে পারবে না। প্রত্যেকটা জিনিস সুনির্দিষ্ট করে দিচ্ছে। এরকম একটা অবস্থা সারা বিশ্বেই। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে জাহাজের ভাড়া এত বেড়ে গেছে। যেগুলো আমদানি করি সেই আমদানির উপর যুদ্ধের প্রভাব পড়ছে। সারাবিশ্বে দাম বেড়ে যাচ্ছে। যুদ্ধের প্রভাবে অর্থনৈতিক অবস্থার উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’