ভেজাল খাদ্যের বাজার রুখতে মনিটরিং জোরদারের তাগিদ

13

নকল, ভেজাল ও মানহীন খাদ্য-পণ্যে সয়লাব বাজার। সব জায়গায় বিএসটিআই এর লগো লাগানো। একজন ক্রেতার পক্ষে আসল-নকল বাছাই করে পণ্য ক্রয় করা কঠিন। ক্রেতাদেরকে এ ধরনের সমস্যা থেকে বাঁচাতে চট্টগ্রাম মহানগরে বিএসটিআই এর বাজার ভিত্তিক সমন্বিত বাজার মনিটরিং জোরদার করা হবে। ক্যাব এর ওয়ার্ড পর্যায়ের শাখাগুলি বিএসটিআইএর সমন্বিত বাজার মনিটরিং জোরদারে সহযোগিতা প্রদান করবে।
গত সোমবার নগরীর বিএসটিআই আঞ্চলিক কার্যালয়ে ক্যাব চট্টগ্রাম ও বিএসটিআই এর আঞ্চলিক পরিচালকের সাথে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
বিএসটিআই চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক প্রকৌশলী সেলিম রেজার সাথে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, বিএসটিআই চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (ল্যাব) সর্দার শামীম সওদাগর, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান, ক্যাব পাঁচলাইশের সাধারণ সম্পাদক সেলিম জাহাঙ্গীর ও চট্টগ্রাম ড্রিংকিং ওয়াটার ওয়ানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সম্পাদক ফয়সল আবদুল্লাহ আদনান, ক্যাব যুব গ্রূপের শেখ জাবের আল মিজান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বলা হয়, বাজারে মানসম্মত খাদ্য-পণ্য বাজারজাতকরণে নিয়োজিত সরকারি মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিএসটিআই এর এক শ্রেণির কর্মকর্তাদের দায়িত্বপালনে উদাসীনতার কারণে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পুরো দেশকে ভেজালের স্বর্গরাজ্যে পরিনত করেছেন। শুধুমাত্র খাদ্য-পণ্য ছাড়াও ক্রেতারা ওজন ও পরিমাপে কারচুপির শিকার। ডিজিটাল পরিমাপক যন্ত্রগুলিতে ডিজিটাল উপায়ে কারচুপি করা হচ্ছে। আর ওজন যন্ত্রটি বিএসটিআই থেকে ক্যালিব্রেশন করার পর স্টিকারটি যথাযথভাবে প্রদর্শন করা হচ্ছে না। ফলে ভোক্তারা বৈধ ক্যালিব্রেশণ যন্ত্র দিয়ে পণ্য ক্রয় করার বিষয়ে জানতে পারছে না। ভোক্তাদেরকে ওজন ও পরিমাপকে কারচুপি বন্ধে বাজারভিক্তিক ব্যবসায়ীদের সাথে সচেতনতা সভা আয়োজন করা ও যৌথভাবে ওজন ও পরিমাপক মনিটরিং জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়াও অনেক ব্যবসায়ীরা একটি পণ্যের লাইসেন্স নিয়ে ৮/১০ পণ্য বাজারজাত করছে। আবার ব্যবসায়ী বিভিন্ন স্থান থেকে আউট র্সোসিং করে খাদ্য-পণ্য বাজারজাত করছেন। কিন্তু সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলি যে উৎস থেকে খাদ্য-পণ্য সংগ্রহ করছেন তার মান বিএসটিআই কর্তৃক সনদ প্রাপ্ত নয়। এ ধরনের বিষয়গুলি রোধে বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের সাথে নিয়মিত মতবিনিময় করা এবং খাত অনুযায়ী প্রাপ্ত অনিয়মগুলি সভায় উপস্থাপন করা এবং বাজার মনিটরিং বিষয়গুলি অগ্রাধিকার ভাবে সমাধান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ক্যাব নেতৃবৃন্দ নিরাপদ ও মানসম্মত খাদ্য পণ্য নিশ্চিতে অত্যধুনিক মান পরীক্ষাগার সুবিধার বিষয়টি উত্থাপন করেন। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সিংহভাগ খাদ্য-পণ্য আমদানি হলেও অধিকাংশ পণ্যের মান পরীক্ষা করা হয় ঢাকায়। সে কারণে ব্যবসায়ীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এবং ব্যায় বাড়ছে।
বিএসটিআই আঞ্চলিক পরিচালক জানান, ভবন সংকটের কারণে চট্টগ্রামে অনেক আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকার পরেও পণ্যের মান পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। ভবন সংকট নিরসন হলে এ সমস্যা দ্রূত সমাধান হবে। পরে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বিএসটিআইএর চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের আওতাধীন মান পরীক্ষায় ল্যাব এর সম্প্রসারিত সুবিধাগুলি পর্যবেক্ষণ করেন।