‘ভূমি অধিগ্রহণের ন্যায্য ক্ষতিপূরণের দাবি’

26

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে ভূমিদস্যু আজম পাশার চক্রান্ত থেকে পরিত্রাণের মাধ্যমে ভূমি অধিগ্রহনের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ পেতে সালেহা খাতুন প্রকাশ সালেহা বেগম নামে এক মহিলা গত বুধবার বিকালে সীতাকুন্ড প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য সালেহা খাতুন জানান, সীতাকুন্ডের উত্তর সলিমপুর এলাকায় আমার খরিদা ভিটিতে বসতঘর নির্মাণ করে ছেলে মেয়েকে নিয়ে দীর্ঘ ৩০ বছরের অধিক কাল বসবাস করছি। খরিদ পরবর্তীতে ০.৫৫০ একর বসতভিটা সীতাকুন্ড ভূমি অফিস হতে আমার নামে নামজারী খতিয়ান সৃজন করি। যার সৃজিত নামজারী খতিয়ান নং-৪৫২৪, নামজারী জমাভাগ মোকদ্দমা নং-০৪-১১৫৯/২০১৮ইং। কিন্তু চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আত্ততাধীন এল এ শাখার মামলা নং-০৭/১৭-১৮ ইং মূলে আমার খরিদা ও দখলীয় ০.৩৭৫ একর ভিটি হুকুম দখল ও অবকাঠামোর ক্ষতিপূরণের নোটিশ প্রদান করেন। নোটিশ পরবর্তীতে সার্ভেয়ার সরেজমিন তদন্তের পর আমাকে অবকাঠামোর ক্ষতিপূরণ প্রদান করলেও স্থানীয় ভূমিদস্যু আজম পাশার চক্রান্তে আমার খরিদা জায়গার ক্ষতিপূরণ প্রদানে গড়ি মসি করেন। এক পর্যায়ে আমার ও আমার ছেলেদের অজান্তে আজম পাশা এল এ শাখার তৎকালীন (যারা বর্তমানে অন্যত্র বদলি হয়েছে) সার্ভেয়ারের সাথে হাত মিলিয়ে গোপনে আমার ভিটির ক্ষতিপূরণের চেক উত্তোলন করে নেয়। বিষয়টি আমার সন্তানরা অবগত হওয়ার পর গত ২৭/০৮/১৯ চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবরে দখলবিহীন তৎ সংশ্লিষ্ট দাগের খতিয়ান হইতে ভূল ব্যক্তির ক্ষতিপূরণের টাকা উত্তোলনের বিরুদ্ধে আপত্তি দাখিল করেন। এতে জেলা প্রশাসক বিষয়টি আমলে নিয়ে আপত্তি দাখিলের পরের দিন শুনানীর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চেকটি পূণরায় এল এ শাখায় ফেরত আনেন। এ ঘটনার পর ভূমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা ও এল এ শাখার সার্ভেয়াররা আমার দখলীয় ভিটি পূণরায় সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এ সময় ভিটিতে আমার দখলের সত্যতা পেয়ে তারা আমার পক্ষে পূণরায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। কিন্তু ভূমিদস্যু আজম পাশা আমার একমাত্র সম্বল ভিটির টাকা হাতিয়ে নিতে একের পর এক অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও ক্ষতিপূরণের টাকা হাতিয়ে নিতে প্রভাবশালী রাজনৈতিক মহলকে ব্যবহার করে আমার পরিবারকে অব্যাহত হয়রানি করছে। আমি আমার সম্পত্তিমূলে ক্ষতি পূরণের টাকা পেতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি জোর আহবান জানাচ্ছি।