ভুটানে নতুন আক্রান্ত নেই ৫ জনের দুইজন সুস্থ

38

চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখন বিশ্বের ত্রাস। একের পর এক শক্তিশালী দেশ বিপর্যস্ত। বিশ্ব জোড়া লকডাউনের ধাক্কায় অর্থনীতির গতি পতনের দিকেই। এমন অবস্থায় ভুটান অনেকটা নিশ্চিন্ত। ভুটান সরকারের দেয়া তথ্যমতে, গত দুই সপ্তাহ ধরে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫ জনেই আটকে আছে। তাদের মধ্যে দুই জন সুস্থ হয়েছেন এবং দেশটিতে করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি। শুধু তাদের দেশই নয়, তাদের সীমান্তবর্তী ভারতের দুই প্রদেশ পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের তথ্যও যাচাই করছে ভুটান। সেই কারণে দুই রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে ভুটানের করোনা পরিসংখ্যান গবেষণা ও তার প্রেক্ষিতে নিজেদের প্রস্তুত করাও অভিনব।
আলিপুরদুয়ার জেলার জয়গাঁ ও ওপারের চুখা জেলার মধ্যে ভুটান গেটই হল প্রধান স্থল সীমান্ত। এরপরই থাকে আসামের চিরাং আর ওপারের জেলেফুর মধ্যে চেকপোস্ট। এছাড়াও বাকি ছোটবড় সব সীমান্ত পথই সিল করে দিয়েছি তারা। তবে কোনো অবস্থাতেই এই যুদ্ধকে হালকা করে দেখছেন না ভুটানিরা। থিম্পু, পারো, ফুন্টশোলিং, জেলেফুসহ বিভিন্ন শহর ও প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকার ছোট বড় সব লোকালয়েই চলেছে বিনামূল্যে জীবাণুনাশক বিলি ও ছড়ানোর কাজ। দেশটির প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং নিজেই রাস্তায় জীবাণুনাশক ছিটিয়েছেন। সরকারি নির্দেশে দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টাইন চলছে। রাজা জিগমে খেসর নামগিয়াল ওয়াংচুকের নির্দেশ- করোনা ঠেকাও, এই লড়াই জিততেই হবে। তিনি নিজেও রাস্তায় নেমে লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কঠিন নিয়মানুবর্তিতার এই চেষ্টা এখনও পর্যন্ত ভুটানকে করোনা হামলা থেকে রক্ষা করছে। এর মধ্যে সেখানে শুরু হয়েছে খাদ্য সংরক্ষণ।