ভাসানচর যাবে আরও ৮০ হাজার রোহিঙ্গা

14

কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির থেকে আরও ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে নিতে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর ও সরকারের মধ্যে সমঝোতা সই হচ্ছে। গত শনিবার রোহিঙ্গাদের সহায়তা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ সমঝোতা স্মারকে ইউএনএইচসিআর-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবের সই করার কথা রয়েছে। খবর বিডিনিউজের
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন বলেন, শনিবার ইউএনএইচসিআর এর সঙ্গে সরকারের এ সমঝোতা স্মারক সই হবে। ভাসানচরে ইতোমধ্যে প্রায় ২০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা নেওয়া হয়েছে। আরও ৮০ হাজার নিয়ে যাব। এপ্রিলের মধ্যে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হচ্ছে। চার বছর আগে মিয়ানমারে নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা এখন কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরগুলোতে অবস্থান করছে। এদের প্রত্যাবাসন আটকে থাকায় সেখানে সামাজিক সমস্যা সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে তাদের একটি অংশকে হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তরের কার্যক্রম শুরু করে সরকার। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর বিরোধিতার মধ্যে গত ৪ ডিসেম্বরে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর করা শুরু হয়। এ পর্যন্ত ছয় দফায় ১৮ হাজার ৩৩৪ জন শরণার্থীকে স্থানান্তর করেছে সরকার। এ স্থানান্তর নিয়ে বিতর্ক এবং দীর্ঘ আলাপ আলোচনার পর গেল জুনে রোহিঙ্গাদের সহায়তা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়ার ইংগিত দেয় জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।গতকাল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব মোহসীন জানান, অক্টোবরের শেষ নাগাদ এ কার্যক্রম শুরু হয়ে আরও ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার শরণার্থী শিবির থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হবে। এ ব্যাপারে ইউএনএইচসিআর আগে যেভাবে কাজ করেছে, একইভাবে কাজ করে যাবে, এ নিয়ে সমঝোতা স্মারক হবে। আশা করি, এন্ড অব অক্টোবর শুরু করব। ভাসানচরে একলাখের একোমোডেশনের ব্যবস্থা রয়েছে। আপাতত এ ব্যবস্থা। পরে কী করা যায় দেখা যাবে, যোগ করেন তিনি।
এর আগে বাংলাদেশ সফরকালে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সহকারী কমিশনার (অপারেশন) রাউফ মাজৌ বলেছিলেন, এখন আলোচনা চলছে, ভাসানচরে বর্তমানে প্রায় ২০ হাজার লোক আছে, যারা বাংলাদেশে থাকা শরণার্থী। তাদেরকে সহযোগিতা ও সহায়তা দেওয়া দরকার।