ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তায় যে প্রস্তুতি

9

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব মোকাবিলায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয়কেন্দ্র ভাসানচরে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও স্থানীয় প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরকে নিরাপদে তাবুতে রাখা, খাওয়া ও চিকিৎসা সেবা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।
শুক্রবার সকালে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নোয়াখালী জেলা ইউনিটের সেক্রেটারি শিহাব উদ্দিন শাহিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমাদের ভাসানচর যে দ্বীপটি আছে সেখানে প্রায় ৩০ হাজার বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গা রয়েছে।আমি ম্যানেজিং বোর্ড মেম্বার হিসেবে আমাদের ডিরেক্টরের সঙ্গে রাতে কথা বলেছি। খবর বিডিনিউজের
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় নোয়াখালীতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। জেলায় সরকারি কর্মকর্তাদের সব ধরনের ছুটি বাতিল হয়েছে। প্রায় পাঁচ শতাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জরুরি খাবার ও চিকিৎসা সহায়তার জন্য জেলা ইউনিট থেকে পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা যেমন ধারণা করেছিলেন, সেভাবেই উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিকের গতিপথ বদলে বাঁক নিয়ে উত্তর উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছে এই ঘূর্ণিবায়ুর চক্র। এভাবে চললে আগামী রবিবার দুপুর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের কিয়াউকপিউয়ের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
বঙ্গোপসাগরের মধ্যে উপস্থিত একটি দ্বীপ ভাসানচর; যেখানে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত প্রায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গা সেখানে অবস্থান করছেন। দ্বীপ বয়স প্রায় ২০ বছর।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এ ধরনের ঘূর্ণিঝড়ের সময় কক্সবাজার উপকূলজুড়ে সাধারণত ৪ থেকে ৬ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ¡াস হয়ে থাকে। এবারও তেমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভাসানচরকে জোয়ার এবং জলোচ্ছ¡াস থেকে রক্ষার জন্য এর চারপাশে নয় ফুট উচ্চতার বেড়িবাঁধ রয়েছে। সমুদ্রের যে পাশ থেকে ঢেউ ভাসানচরে আঘাত হানে সেখানে শোর প্রোটেকশন রয়েছে।