ভাষার দিক থেকে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে : শিক্ষা উপমন্ত্রী

6

পূর্বদেশ ডেস্ক

শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, আমরা যদি সুশৃঙ্খল জাতিতে পরিণত হতে চাই তাহলে অবশ্যই মানবিক গুণাবলি সম্পন্ন মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে।
গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রামের হোটেল রেডিসন ব্লু’র হলরুমে এপিএবি’র ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কোরিয়া খুব সুশৃঙ্খল রাষ্ট্র। আমাদেরকেও একটি সুশৃংখল রাষ্ট্রে পরিণত হতে হবে। বিশৃঙ্খলা পরিত্যাগ করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি সুশৃঙ্খল রাষ্ট্র উপহার দিয়েছিলেন। কিছু স্বার্থান্বেষী লোক সেটি বিনষ্ট করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সুশৃঙ্খল রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছি। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর যদি কোনও দক্ষতা না থাকে, তারা শুধুমাত্র সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত হবে। তাদের মানসিকতা যদি সংকীর্ণ হয়, যদি ধর্মীয়ভাবে সা¤প্রদায়িক চিন্তা তারা লালন করে, তারা যদি বিশ্ব নাগরিক হতে না পারে, তারা যদি বাঙালি হিসেবে তার মূল্যবোধ এবং তার যে আদর্শিক চেতনাবোধ ঠিক করতে না পারে, তাহলে আমাদের পক্ষে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড পাওয়া সম্ভব হবে না। খবর বাংলানিউজ।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের সন্তানদের নানান ভাষায় দক্ষতা অর্জন করা খুব দরকার। ভাষার দিক থেকে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। কোরিয়াও পিছিয়ে ছিল। তারা এগিয়ে এসেছে। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে ভাষার দিক থেকে। ব্রিটিশরা সারা দেশকে শোষণ করে বড়লোক হয়েছে। আমাদের এশিয়ান দেশগুলো কাউকে ধ্বংস করে বড় হয়নি। তারা কাজের মাধ্যমে, পরিশ্রমের মাধ্যমে বড় হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ ছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনায় আমরা সেসব চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পর্কে যে জ্ঞান তা শুধুমাত্র মুষ্টিমেয় মানুষের মধ্যে যেন সীমাবদ্ধ না থাকে, এজন্যই তিনি তা উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। এই উন্মুক্ত বিশ্বে আমার সন্তান যাতে তথ্যপ্রযুক্তির অংশীদার হতে পারে সেজন্যই ডিজিটাল বাংলাদেশ তাঁর সৃষ্টি। এবং এটাকে আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার জন্য নানান ধরনের পরিবর্তন, শিক্ষা কারিকুলাম থেকে শুরু করে তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামোর পরিবর্তন- সবকিছু তিনি করে দিয়েছেন; যাতে এই যুবসমাজ জ্ঞান-বিজ্ঞান ও দক্ষতা নিয়ে প্রস্তুত হতে পারে।
পাশাপাশি আমাদের একটি ঝুঁকিও সৃষ্টি হয়েছে। এই অবকাঠামোকে ব্যবহার করেই অনেক ধরনের অপপ্রচার, ধর্মীয় সা¤প্রদায়িক সংঘাত-সংঘর্ষ সৃষ্টি করার একটা অপপ্রচার চলছে। এগুলো থেকে আমাদের সন্তানদের বিরত রাখার জন্য তাদেরকে মানসিকভাবে, মানবিক গুণাবলিতে উন্নত করার জন্য এপিএবি-কে কাজ করতে হবে। আমরা চাই সে কাজগুলো তারা করুক। তাদের আগামী দিনের যাত্রায় আমাদের সহযোগীতা অবশ্যই থাকবে।
এসময় সিনিয়র সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব শফিকুল ইসলাম , অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব কাজল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।