ভারত থেকে দুই মাসে এসেছে ৪৪৫ জন

57

বিদায়ী বছরে ভারত থেকে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে আসা হাজারখানেক নাগরিককে আটক করা হয়েছে; এর মধ্যে দেশটির নাগরিকত্ব আইন সংশোধন হওয়ার পর নভেম্বর-ডিসেম্বর দুই মাসে এসেছেন ৪৪৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক। বিজিবি প্রধানের দাবি, ফেরত আসা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক, যারা বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন; এদের ফেরত আসার সঙ্গে ভারতের নাগরিকপঞ্জি বা নাগরিকত্ব আইনের কোনো সম্পর্ক নেই।
সম্প্রতি বিজিবি-বিএসফ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকের বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার পিলখানায় বাহিনীর সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছিলেন মেজর জেনারেল সাফিনুল।
গত ২৫-৩০ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা পর্যায়ের এই বৈঠক হয়।
গত আগস্টে ভারতের আসামের চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জি প্রকাশ হলে দেখা যায়, রাজ্যটির বাসিন্দা ১৯ লাখ মানুষের নাম সেখানে স্থান পায়নি। বাদ পড়াদের ‘অবৈধ বাংলাদেশি’ হিসেবে চিহ্নিত করে ভারত থেকে বের করে দেওয়া হবে বলে আলোচনা ছিল ভারতীয় গণমাধ্যমে। এই পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারতীয় সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের ঘটনায় মানুষজনের আটক হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। খবর বিডিনিউজের
আসামে নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি নিয়ে বিতর্কের পর ভারত সরকার ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন (সিএএ) করে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যাওয়া হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ ও পার্সি শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ সুগম করে। এরপর থেকেই সহিংস বিক্ষোভ চলছে দেশটির বিভিন্ন অংশে। ওই অস্থিরতার মধ্যে ডিসেম্বরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফর বাতিল করা হয়। তবে এনআরসি এবং সিএএ নিয়ে ভারতের পক্ষ থেকে বরাবরই আশ্বস্ত করে বলা হয়েছে, এগুলো একান্তই তাদের নিজস্ব বিষয়, এ নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই।
বিদায়ী বছরে মোট কতজন অনুপ্রেবশকারী আটক হয়েছে জানতে চাইলে বিজিবিপ্রধান বলেন, কোনো অনুপ্রবেশকারীকে ঢুকতে দেওয়া হয়না, আমরা দিই না।
তিনি বলেন, গত এক বছরে তিনজন পাচারকারীসহ প্রায় এক হাজার জনকে আটক করা হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে খোঁজ-খবর নিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিশ্চিত হওয়ার পর তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। তারা সবাই বাংলাদেশি এবং অধিকাংশই ভারতে কাজের সন্ধানে গিয়েছিলেন, বলেন মেজর জেনারেল সাফিনুল।
মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে এনআরসি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলেও জানান তিনি।