ভারতে সহিংসতা-বিক্ষুব্ধ পরিবেশের মধ্যে নিরাপত্তা জোরদার

49

ভারতে নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ বিক্ষুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে বড়দিনের আগে দিয়ে নিরাপত্তা জোরদার করেছে কর্তৃপক্ষ। ওদিকে, নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদ বাড়তে থাকার মাঝেও এ আইনের সমর্থনে পদযাত্রা করার পরিকল্পনা করেছে ক্ষমতাসীন দল। উৎসবের মৌসুমে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। মঙ্গলবার বহু জায়গায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, সরকার চায় ছুটির এ সপ্তাহে বড়দিনের প্রাক্কালে দেশের সব রাজ্যের পুলিশ দায়িত্ব পালন করুক। নয়াদিল্লিতে এক ঊর্ধতন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, “আমরা চাই পুলিশ সহিংসতা ঠেকিয়ে রাখুক। তবে আমরা এটাও বুঝতে পারছি যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। সেকারণেই বিভিন্ন বাজার এবং জনসমাগম স্থানগুলোতে আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন থাকবে।”
জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) এবং নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে ভারতজুড়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছে সরকার। বিক্ষোভ-মিছিল ঘিরে সহিংসতা-উত্তেজনা ছড়িয়েছে উত্তরপ্রদেশ থেকে দিল্লি। মারা গেছে ২০ জনেরও বেশি মানুষ।এ আইনে মুসলমানরা বাদ পড়ায় এটি নিয়ে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। তাছাড়া, এ আইনের কারণে বিদেশি শরণার্থীদের ঢল নামারও আশঙ্কায় আছে বিক্ষোভকারীর। তবে ভারতের নরেন্দ্র মোদীর ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমালোচনা বিভ্রান্তিকর আখ্যা দিয়েছে এবং এ বিভ্রান্তির বিরুদ্ধেই তারা আইনটির পক্ষে সমাবেশ করার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানিয়েছে।
বিজেপি’র মুখপাত্র গোপাল কৃষ্ণ বলেছেন, আমরা ব্যাখ্যা করে একথা বলতে চাই যে আইনটি মুসলিম বিরোধী নয়। যারা আইনটির বিরুদ্থে প্রতিবাদ করছেন তারা মানুষকে বিপথে চালিত করছেন, বিশেষ করে অশিক্ষিত মুসলিমদেরকে। নতুন ওই আইনটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে উত্তরপ্রদেশেই সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে। পুলিশ বলছে ইসলামপন্থিরাই সিএএ’র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ উস্কে দিচ্ছে।
ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা কালানিধি নাইথানি বলেছেন, “দিল্লিতে সদরদপ্তর থাকা এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় শক্তিশালী ঘাঁটি থাকা ইসলামিক দলগুলোই উত্তর প্রদেশে সহিংসতার পেছনে কাজ করেছে।” গত ১০ দিনে উত্তর প্রদেশ পুলিশ প্রায় ৯শ’ জনকে সহিংসতার অভিযোগে কাস্টডিতে নিয়েছে। আর ভারতজুড়ে গ্রেপ্তার হয়েছে ২ হাজারেরও বেশি মানুষ।