ভারতে মুসলিম পরিবারকে বেধড়ক মারধর, গ্রাম ছাড়ার হুঁশিয়ারি

15

ভারতের মধ্যপ্রদেশে একটি মুসলিম পরিবারের সদস্যদের বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। মারধরের পাশাপাশি প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাদের এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বলা হয়েছে। শনিবার রাতে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের কাছে কাম্পেল গ্রাম পঞ্চায়েতে এই ঘটনা ঘটে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। ভিটটিম পরিবারটির অভিযোগ, বাড়ি খালি করে গ্রাম ছেড়ে না যাওয়ায় উন্মত্ত জনতা ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিয়ে তাদের মারধর করে। এক মাস আগেও তাদের ঘর ছাড়ার জন্য শাসানোর অভিযোগ উঠেছে। তবে বিজেপি শাসিত রাজ্যটির পুলিশের দাবি, অর্থকড়ি নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। দুই পক্ষের তরফেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ভিকটিম গিয়াসুদ্দিনের পরিবার দুই বছর আগে কাম্পেল গ্রামে আসে। পেশায় তারা কামার। জীবন ধারণের জন্য লোহার ট্রলি, চাষের সরঞ্জাম তৈরি করেন তারা। ৪৬ বছরের ফারুক গিয়াসুদ্দিনকে শনিবার রাতে পেটায় স্থানীয়রা। তার ছেলে শাহরুখ গিয়াসুদ্দিন দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, ‘আচমকা ওরা চড়াও হয় আর মারতে শুরু করে আমাদের। লোহার রড আর মাটিতে যা পেয়েছে তা দিয়ে মেরেছে। আমার বাবাকে বারবার মারতে থাকে। আমার কাকা তখন বাধা দিতে যান, তাকেও মারধর করা হয়। ওরা বলছিল, ঘর ছাড়তে হবে, না হলে ফল ভালো হবে না।’
শাহরুখের বোন ফাউজিয়া কয়েক দিন আগেই বাপের বাড়িতে এসেছেন। ঘটনার সময় তিনিও বাড়িতেই ছিলেন। তিনি বলেন, ‘বেশ কয়েকজন পুরুষ এলো গাড়িতে করে। আমি ওদের ভিডিও করছিলাম। কয়েকজন আমার হাত ধরে বাইরে টেনে নিয়ে আসে। আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে মাটিতে আছাড় মেরে ভেঙে দেয়।’ পরিবারটির সদস্যরা জানান, প্রায় ২৫ মিনিট ধরে অকথ্য নির্যাতন চলে তাদের ওপর। একপর্যায়ে উন্মত্ত জনতা তান্ডব চালিয়ে চলে গেলে থানায় যান আক্রান্তরা। সেখান থেকে তাদের মহারাজা যশবন্তরাও হাসপাতালে পাঠানো হয় মেডিক্যাল টেস্টের জন্য। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে।