ভারতে নতুন বছরের বাজেটে আয়করে ছাড়, ব্যয় বৃদ্ধি

13

পরদেশ ডেস্ক

ভারতের পার্লামেন্টে নতুন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সাধারণ বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। দ্বিতীয় মেয়াদে নরেন্দ্র মোদী সরকারের এই শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেটে মধ্যবিত্তদের জন্য আয়করে ছাড় এবং মূলধনী ব্যয় একলাফে অনেকখানি বাড়ানো হয়েছে।
এখন থেকে নতুন কর কাঠামো ব্যবহার হবে। তবে পুরনো কর কাঠামোর সুবিধাও থাকবে।
বছরে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় হলে আয়করে ছাড় থাকবে। আয়কর ছাড়ের সীমা ৫ লাখ রুপি থেকে বাড়িয়ে ৭ লাখ রুপি করা হচ্ছে।
তাছাড়া, কারও বছরে ৯ লাখ রুপি পর্যন্ত আয় হলে ৪৫ হাজার রুপি আয়কর দিতে হবে, যা আগের তুলনায় ২৫ শতাংশ কম।
কারো ১৫ লাখ রুপি বাৎসরিক আয় হলে তাকে দেড় লাখ রুপি কর দিতে হবে। আগে দিতে হত ১ লাখ ৮৭ হাজার রুপি। আর ০ থেকে ৩ লাখ রুপি পর্যন্ত বছরে আয় করলে কোনও কর দিতে হবে না।
অবকাঠামোতে ব্যয় বৃদ্ধি: আয়করে ছাড়ের পাশাপাশি ২০১৪ সাল থেকে সরকারের সড়ক, মহাসড়ক, ভবন, রাস্তাঘাট এবং বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা মোতাবেক এবার বাজেটে মূলধনী ব্যয় ৩৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে, যা গত বাজেটের অঙ্কের ৩৫দশমিক ৪ শতাংশর তুলনায় সামান্য কম। তবে এই বাজেটে মূলধনী খরচের মোট অঙ্ক ধরা হয়েছে ১২ হাজার ২০০ কোটি ডলার, যা ২০১৯ সালের অঙ্কের চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি।
কেন্দ্রীয় এই বাজেটে মধ্যবিত্তের ভরসা ভারতীয় রেল ইতিহাসে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। রেলের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২,৪০০ কোটি ডলার। এই বরাদ্দ কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী মোদীর আমল শুরু হওয়ার আগে রেলের পাওয়া বরাদ্দের ৯ গুণ।
বাজেটে নতুন রেলপথ তৈরি, আরও রেলপথের বৈদ্যুতিকরণ, রেলস্টেশন, ট্রেনের পরিচ্ছন্নতা, রেল পরিকাঠামোর উন্নতি, রেল সুরক্ষা ব্যবস্থা, নতুন আরও বন্দে ভারত ট্রেন, বুলেট ট্রেন এবং হাইড্রোজেন জ্বালানিতে ট্রেন চালানো খাতে খরচ করা হবে বরাদ্দ অর্থ।