ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক বিতর্কের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র : পম্পেও

15

ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান তুলে ধরেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।বলেছেন, তার দেশের অবস্থান গণতন্ত্র, সংখ্যালঘুর সুরক্ষা ও ধর্মীয় স্বাধীনতার পক্ষে। বুধবার ওয়াশিংটনে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ভারতে চলমান বিতর্ককে সাধুবাদ জানিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে নিপীড়নের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব নিশ্চিতে স¤প্রতি আইন সংশোধন করেছে ভারত। গত ১২ ডিসেম্বর রাতে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের পরেই আইনে পরিণত হওয়া বিলটি শুরু থেকেই মুসলিমবিরোধী আখ্যা পেয়েছে। বিতর্কিত এই আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দেশজুড়ে সরব একাধিক রাজনৈতিক দল। চলছে দফায় দফায় বিক্ষোভ।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠকের পর মাইক পম্পেও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা সর্বত্র সংখ্যালঘু এবং ধর্মীয় অধিকার রক্ষার বিষয়ে সবসময় সচেষ্ট থাকব। এসব নিয়ে যেভাবে ভারতে বিতর্ক চলছে তা দেখে আমরা সে দেশের গণতন্ত্রকে আরও একবার সম্মান জানাই।’ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপারকে এক ভারতীয় কূটনীতিক সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাস হওয়ার পরে ভারতে চলা লাগাতার বিক্ষোভের বিষয়ে প্রশ্ন করতে তিনি জবাবে বলেন যে, এই আইনটি ধর্মীয়ভাবে বৈষম্যমূলক বলেই তিনি শুনেছেন। মার্কিন পররষ্ট্রমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হয়, যুক্তরাষ্ট্র তো বিশ্বজুড়ে ধর্মীয় অধিকার রক্ষার ব্যাপারে খুবই সোচ্চার। তিনি কি মনে করেন, গণতান্ত্রিক কোনও দেশে নাগরিকত্বের একটি নির্ধারক মানদণ্ড হিসাবে ধর্মীয় বিশ্বাসকে ব্যবহার করা যথাযথ? এই প্রশ্নের উত্তর দেন জয়শঙ্কর। বলেন, ‘যদি সেই নির্দিষ্ট আইনটি নিয়ে যে বিতর্ক চলছে তা মনোযোগ সহকারে খেয়াল করেন, তবে দেখতে পাবেন যে, কয়েকটি দেশে ধর্মীয় নিপীড়নের ফলে সেখান থেকে চলে এসে এ দেশে এসে আশ্রয় নেওয়া ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সমস্যা সমাধানের জন্যেই এই আইনটি তৈরি হয়েছে।’ পম্পেও বলেন, শুধু ভারত নয়, বিশ্বজুড়ে ধর্মীয় বৈষম্য নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।