ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের আজ সিরিজ জয়ের হাতছানি

14

পূর্বদেশ ক্রীড়া ডেস্ক
দিন দুয়েক আগে অবিশ্বাস্য কিছুর সাক্ষী হয়েছে সবাই। শেষ উইকেট জুটিতে ৫১ রান করে ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ নায়ক হয়েছেন, মোস্তাফিজুর রহমানও। তবে অবিশ্বাসের দোলাচলের আগেও ভারত ছিল না খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থায়। এক লোকেশ রাহুল ছাড়া ব্যাটাররা রান করতে পারেননি। পরের ইনিংসেও লম্বা সময় বাংলাদেশই ছিল এগিয়ে। হুট করে মিডল অর্ডার ধ্বসে যাওয়াতেই পরাজয়ের শঙ্কা ভর করেছিল লিটন দাসদের। সেসব ছাপিয়ে জয় এনে দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
আজ দ্বিতীয় ম্যাচেই তাই বাংলাদেশের সামনে হাতছানি দিচ্ছে সিরিজ জয়ের সুযোগ। শেরে বাংলাই যে এর জন্য আদর্শ জায়গা- বলার অপেক্ষা রাখে না। মাঠটা সাকিব আল হাসানদের চেয়ে কেইবা ভালো চেনেন- পরিচিত জায়গাতেই সিরিজ জয় সহজ হওয়ার কথা। চট্টগ্রামে গেলে ভিন্ন কন্ডিশন, উইকেটও। সংবাদ সম্মেলনে এসে হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো অবশ্য জানালেন পুরোনো স্মৃতি ভুলে গেছেন তারা, ‘ছেলেরা আনন্দিত, খুব খুশি। এমনই হওয়ার কথা আসলে। দুর্দান্ত একটি জয় ছিল আমাদের জন্য। কিন্তু আজকে এসে, সেসব শেষ। দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছে তাদের সঙ্গে। ’
‘আগের ম্যাচ থেকে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক থেকে শিখতে হবে। সব বিভাগেই আমাদের উন্নতি করতে হবে। কারণ জানি, ম্যাচটা কঠিন হবে। ’
বাংলাদেশের জন্য জয়টা ছিল সত্যিই অসাধারণ। ওয়ানডেতে তিনবার প্রতিপক্ষকে হারানোর ব্যবধান আছে এক উইকেট। আগের দুটিই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, তাও এক দশকেরও বেশি সময় আগে। উচ্ছ¡াস তাই স্বাভাবিকই। কিন্তু ভারতের জন্য হওয়ার কথা ভিন্ন চিত্র, মানসিকভাবেও পিছিয়ে থাকার কথা তাদের।
যদিও ম্যাচ প‚র্ব সংবাদ সম্মেলনে এসে শেখর ধাওয়ান জোর দিলেন নতুন শুরুর, ‘এটা হবে নতুন শুরু। আমরা ম্যাচটার দিকে তাকিয়ে আছি। খুব ইতিবাচকও আছি আমরা। কালকে ভালো ক্রিকেট খেলতে মুখিয়ে আছি। ’
ভারত-বাংলাদেশ লড়াই মানেই থাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁজ। গত কয়েক বছর কাছে গিয়ে বারবার হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এবার হয়েছে তার উল্টো। উন্মাদনাও বহুগুণ বেড়েছে। টিকিট নিয়ে তৈরি হয়েছে হাহাকার। এখন বাংলাদেশ সিরিজটা নিজেদের করে নিতে পারলেই ‘ষোলো কলা’ প‚র্ণ হয়। সেটি কি আজই হবে? এই প্রশ্নই সবার মনে।