ভারতের উত্তরাখন্ডে ৩৫৮ হেক্টর বন পুড়ে ছাই

80

ভারতের উত্তরাখন্ডে আগুন পরিস্থিতি নিয়ে কোনো সুখবর নেই। এখনও সেখানকার জঙ্গলে তান্ডব চালাচ্ছে ভয়াবহ দাবানল। তাপমাত্রার পারদ ওপরে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে আগুনের লেলিহান শিখা। রাজ্যের আলমোরা ও নাইনিতাল জেলায় দাবানল বিশালাকার ধারণ করেছে। ভিমতাল, সাত্তাল ও দেবিধুরার পাইন জঙ্গলের দিকে আগুন ছুটে চলায় আরও বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, গত ১১ দিনে উত্তারাখন্ডের রাজধানী দেরাদুনে অন্তত ৩২টি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আলমোরায় ৭৬টি অগ্নিকান্ডের ঘটনায় প্রায় ১৮৯.২৫ হেক্টর জঙ্গল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। একইসময়, নাইনিতালে ১৭০টি অগ্নিকান্ডে ১৬৮.২৮ হেক্টর জঙ্গল ভষ্ম হয়ে গেছে। ১২ মে পর্যন্ত উত্তরাখন্ডে প্রায় ৫৯৫টি অগ্নিকান্ডের খবর পাওয়া গেছে। এরমধ্যে তেহরি গারর্বালে ৭০টি, চম্পাবতে ৬০টি, পাওরি গারর্বালে ৬৮টি ও দেরাদুনের ৩৪টি জায়গার জঙ্গলে আগুন লাগে।
এসব অগ্নিকান্ডে গত ৮ মে পর্যন্ত অন্তত ছয়জন নিহত ও চারজন দগ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বন কর্মকর্তারা বলছেন, বৃষ্টির অভাব ও তীব্র গরমের কারণে দাবানল বাড়ছে। তবে, পরিবেশবাদীরা এসব অগ্নিকান্ডের জন্য মানুষকেই দায়ী করছেন। দেরাদুন ভিত্তিক সেন্টার ফর ইকোলজি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চের নির্বাহী পরিচালক বিশাল সিং বলেন, পশ্চিমা হিমালয় অঞ্চলের প্রতিটি দাবানলই মানবসৃষ্ট। গ্রামবাসী ও বন কর্মকর্তারা পাইন জঙ্গলের বৃদ্ধি আটকাতে ইচ্ছা করেই আগুন লাগান। ওই সব জমিতে ঘাস ও বিভিন্ন শস্য উৎপাদন করা হয়। তবে সমস্যা তৈরি হয় তখনই, যখন আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
২০০০ সালে উত্তরপ্রদেশ থেকে আলাদা হওয়ার পর থেকেই উত্তরাখন্ডের জঙ্গলে আগুন লাগার ঘটনা প্রায় ৫০০ ভাগ বেড়ে গিয়েছে। গত ১৯ বছরে আগুনে পুড়তে পুড়তে মাত্র ৪৪.৫১৮ হেক্টর জঙ্গল অবশিষ্ট আছে। এসময়ে প্রায় দুই কোটি রুপি সমমূল্যের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।