ভারতেও পেঁয়াজের ‘ডাবল সেঞ্চুরি’

14

গত মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশের বাজারে ‘ডাবল সেঞ্চুরি’ হাঁকিয়েছিল পেঁয়াজের দাম। এর মাসখানেক পরেও বাজারে নতুনের সঙ্গে আমদানির পেঁয়াজ মিললেও দাম কমার লক্ষণ নেই। এখনো দুইশ’র ওপর দাম দিয়েই কিনতে হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যটি। বাংলাদেশের মতো এবার পাশের দেশ ভারতেও ডাবল সেঞ্চুরির কোটা পার করেছে পেঁয়াজ। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) থেকে ব্যাঙ্গালুরুর খুচরা বাজারে দুইশ’ রুপি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে এটি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, পাইকারি বাজারে প্রতি কুইন্টাল (১০০ কেজি) পেঁয়াজ ৫ হাজার ৫০০ থেকে ১৪ হাজার রুপিতে বিক্রি হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। ফলে দিন দিন ঘর বা হোটেলের রান্নাঘর থেকে গায়েব হতে চলেছে ভারতীয়দের অতিপ্রিয় সবজিটি।
জানা যায়, ভারতে প্রতি বছর চাহিদা রয়েছে ১৫০ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজের। সেখানে ২০ দশমিক ১৯ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয় এক কর্ণাটক রাজ্যেই।
কিন্তু অতিবৃষ্টি ও বন্যায় এ বছর প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সংকট দেখা দেয় সারাদেশেই। একারণে তুরস্ক, মিশর, মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় মোদী সরকার। খবর বাংলানিউজের
পেঁয়াজ সংকটের অজুহাতে ভারত অক্টোবরের শেষের দিকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিলেও পুরোদমে চালু রেখেছে মালদ্বীপের সঙ্গে। প্রয়োজনে আমদানি করে হলেও ‘মালদ্বীপীয় বন্ধুদের’ পেঁয়াজ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন ভারতের খাদ্যমন্ত্রী রাম বিলাস পস্বন। তবে এতে অনেকটা হিতে-বিপরীত হয়েছে তাদের জন্য।
গত নভেম্বরেও কর্ণাটকের বাজারে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ কুইন্টাল পেঁয়াজ মিলেছে প্রতিদিন। কিন্তু ডিসেম্বরের শুরুতেই তা কমে গেছে প্রায় ৫০ শতাংশ।
একারণে সংকট কাটাতে কৃষি পণ্য বাজার কমিটি (এপিএমসি) ছুটির দিনেও পেঁয়াজ বেচাকেনা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কর্ণাটকের কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সিদ্দগঙ্গাইয়া বলেন, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছে খুব বেশি পেঁয়াজ মজুদ নেই। আশ্চর্যজনক ব্যাপার, কর্ণাটকে পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য উপযুক্ত গুদামও নেই।

এদিকে, অবৈধ মজুদ ঠেকাতে রাজ্যজুড়ে কড়া অভিযান শুরু করেছে কর্ণাটকের খাদ্য বিভাগ। তবে এতে খুব একটা আশান্বিত হতে পারছেন না স্থানীয়রা। কবে নাগাদ পেঁয়াজের দাম ফের সহনীয় পর্যায়ে আসবে তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে তাদের।