ভাঙনরোধে পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নেই

34

ভাঙনরোধে রাঙামাটি শহরের প্রধান সড়কে পানি নিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে দিন দিন হুমকিতে পড়ছে রাঙামাটি শহর। এরই মধ্যে ২০১৭ সালের ১৩ জুন ভয়াল পাহাড়ধসের ঘটনায় ভেঙেচুরে বিবর্ণ হয় প্রায় গোটা শহর এলাকা। এতে প্রাণহানি ঘটেছে ১২০ জনের। প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলিসহ সরকারি বেসরকারি স্থাপনা, বাড়িঘর ও বসতভিটা ধসে ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক-যা গত দুই বছরেও পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে পায়নি।
গবেষক ও বিশ্লেষকদের মতে, বৃষ্টিপাতসহ মানুষজনের নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যবহার্য পানি নিষ্কাশনে পরিকল্পিত সড়ক বা রাস্তা নির্মিত না হওয়ায় অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের পানির চাপে প্রতি বর্ষাতে শহরসহ রাঙামাটিতে ঘটছে পাহাড় বা ভূমিধসের ঘটনা। যে কারণে বৃষ্টিপাতের অতিরিক্ত পানির চাপ ধরে রাখতে না পারায়, তা গড়িয়ে ২০১৭ সালের ১৩ জুন ভয়াল ভূমিধসের ঘটনাটি ঘটে। এখন আবার বর্ষা আসন্ন। এতে আবারও ভূমিধসের আশঙ্কায় ভীতি তৈরি হচ্ছে জনমনে। অথচ সম্ভাব্য ভূমিধস বা ভাঙনরোধে আজও পানি নিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থার উদ্যোগ নেয়া হয়নি শহরজুড়ে।
এদিকে নিরাপদ সড়ক গঠনসহ শহরের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য্যবর্ধনে শহরের প্রধান সড়কের উভয় পাশে টাইলস দিয়ে আধুনিক ফুটপাত নির্মাণ করছে রাঙামাটি পৌরসভা। বর্তমানে নির্মাণকাজ বাস্তবায়নাধীন। কিন্তু আধুনিক ফুটপাত নির্মাণকাজ চলমান থাকলেও তাতে সড়কে আবদ্ধ পানির নিষ্কাশনে পর্যাপ্ত সেচনালা নেই।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফুটপাতের নিচ দিয়ে শহরের বনরুপা এলাকার শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টার হতে কাঁচাবাজার হয়ে পানি নিষ্কাশনের জন্য নালা নির্মাণ করা হচ্ছে। অথচ সম্ভাব্য ভাঙন নিয়ে সবচেয়ে অধিক ঝুঁকিতে থাকা ওই শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টার হতে এসকে মার্কেট পর্যন্ত মাত্র কয়েকশ’ গজে এরকম পানি নিষ্কাশনের নালা নির্মাণ করা হচ্ছে না। ফলে সম্ভাব্য ভাঙনের আশঙ্কায় ভীতিতে সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজন। তারা ওই এলাকাতেও পানি নিষ্কাশনের জন্য নালা নির্মাণকাজ সংযুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে নির্মাণকারী কর্তৃপক্ষ রাঙামাটির পৌরসভার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা। তা ছাড়াও চলমান ফুটপাত নির্মাণকাজ যেনতেনভাবে করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ এলাকাবাসীর।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে রাঙামাটি পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমান জানান, শহরের বনরুপা এলাকার শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টার হতে কাঁচাবাজার হয়ে আলিফ মার্কেট পর্যন্ত বৃষ্টিপাতসহ বিভিন্ন পানির অতিরিক্ত আবদ্ধতা জমে। তাই ওইসব পানি কাপ্তাই হ্রদে নিষ্কাশন করতে সেখানে নালা নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে ভাঙনের ঝুঁকি কমে যাবে। সম্পূর্ণ কাজ সুষ্ঠুভাবে চলছে বলে দাবি করেন তিনি।