ভবন মালিক ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলা

27

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলশীতে নির্মাণাধীন ভবনের লিফটের গর্তে পড়ে শিশু সামিয়া আক্তার বর্ষার (৭) মৃত্যুর ঘটনায় ভবন মালিক ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শিশুটির মা শেফালী বেগম গতকাল ভবনটির মালিক আবু জাহেদ ও ঠিকাদার সাদ্দাম হোসেনকে আসামি করে খুলশী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। শেফালী বেগম জানান, মেয়েকে গোসল করিয়ে ভাতও দিয়েছিলাম। একটু খেলতে বেরিয়ে তার আর ভাত খাওয়া হলো না। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে বিকেলে এলাকায় মাইকিং করা হয়। পরে রাতে মেয়ের লাশ পাওয়া যায়। বারবার বলা হলেও নির্মাণাধীন ওই ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। স্থানীয় লোকজনও তাগাদা দেন। তারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নেওয়ায় মেয়েকে হারাতে হলো। ভবনমালিক আর ঠিকাদারের শাস্তি চাই। আর কোনো মাকে যাতে সন্তানহারা হতে না হয়।
এ বিষয়ে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা জানান, শিশুটির মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় ভবনের মালিক, ঠিকাদার দুজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নেওয়ায় শিশুটি খেলতে বেরিয়ে লিফটের গর্তে পানিতে পড়ে মারা যায়।
শেফালি-আসলাম দম্পতির দুই সন্তানের মধ্যে বড় সামিয়া। ছোট ছেলের বয়স দেড় বছর। সামিয়া কুসুমবাগ এলাকায় শেখ রাসেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণিতে পড়তো। তার বাবা মো. আসলাম বাসার সাজসজ্জার কাজ করেন। মা শেফালী বিভিন্ন মানুষের বাসায় কাজ করেন।
শিশুটির বাবা মো. আসলাম বলেন, মেয়েকে ছাড়া কীভাবে থাকব বুঝতে পারছি না। বাসায় ফিরতে রাত হলেই মেয়ে তার মাকে ফোন করে বিরক্ত করতো। বাসায় না ফেরা পর্যন্ত বসে থাকতো। এখন আর কেউ বসে থাকবে না। বাবা বলেও ডাকবে না।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে নিখোঁজ হয় শিশু সামিয়া। অনেক খোঁজ করে না পেয়ে ইফতারের পর এলাকায় মাইকিং করা হয়। এরপর রাত সোয়া ১০টার দিকে ওই এলাকার নির্মাণাধীন একটি ভবনের লিফটের গর্তে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। রাত ১১ টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।