ব্রয়লার মুরগির দাম না কমালে মামলা: ভোক্তা অধিকার

3

ঢাকা প্রতিনিধি

ব্রয়লার মুরগির দাম লাগামহীন। পাইকারিতে কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। খুচরায় বিক্রি করা হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৯০ টাকায়। আজকের মধ্যে দাম না কমালে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এমনটাই জানিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
গতকাল বুধবার রাজধানীর নিউ মার্কেটের কাঁচাবাজার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু এবং বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন।
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, আজ (বুধবার) আমরা পর্যবেক্ষণ করলাম। বাজার পর্যবেক্ষণে যা দেখলাম- ব্রয়লার মুরগির দাম ২০০ টাকার বেশি হওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। আগামীকাল (আজ) থেকে যদি ব্রয়লার মুরগি দাম কমানো না হয় তবে খুচরা ব্যবসায়ী, মিল মালিক, যারা ব্রয়লার তৈরি করেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।
তিনি আরও বলেন, ব্রয়লার মুরগি নিয়ে আমাদের সমস্যা। আর কোথাও সমস্যা নেই। এর সমাধানে আমরা সরকারকে ৮টি প্রস্তাব দিয়েছি। যারা এর দায়িত্বে আছেন, আশা করছি তারা ভোক্তার কষ্ট কমাতে যথাযথ উদ্যোগ নেবেন।
ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক বলেন, ডাল, ছোলাসহ অনেক পণ্যের দাম কমেছে, বেড়েছে শুধুই ব্রয়লার ও সোনালী মুরগির দাম। কোনোভাবেই এক কেজি মুরগির দাম ২৫০ থেকে ৩০০ হতে পারে না। তাও যদি হয় তাহলে সরকারকে বলব পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে মুরগি আমদানি শুরু করতে।
রোজায় নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে সাধারণের মধ্যে যে উৎকণ্ঠা, তাও উঠে আসে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বক্তব্যে। তিনি বলেন, বাজারে পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই। আমি ভোক্তাদের বলব, আপনারা আতঙ্কিত হবেন না। পণ্য আছে, পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই।
এবার রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে যাতে ব্যবসায়ীরা কারসাজি করতে না পারে, সেজন্য বাজার কমিটিগুলোকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারপরও দেশের কোনো বাজারে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে যদি অস্থিরতা সৃষ্টি হয়, তাহলে এর জন্য বাজার কমিটি দায়ী থাকবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।
এফবিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বলেন, ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বেশি নিলে বাজার কমিটিগুলোকে তাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। তারা এই নিয়ন্ত্রণটুকু করতে না পারলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাজার কমিটি বাতিল করে দেবে। ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান থাকবে এবার রমজানে ভোক্তা যেন একটু স্বস্তিতে থাকে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, রমজান আসলেই ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার অপবাদ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আছে। আমরা এবার এফবিসিসিআই, ভোক্তা অধিদপ্তর, দোকান মালিক সমিতি, বাজার ব্যবসায়ী সমিতি সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবার রমজানে পণ্যের দাম বাড়ার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।
এদিকে রমজান উপলক্ষে বাজার পরিস্থিতি নিয়ে আজ জরুরি সভা ডেকেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।