ব্রয়লার মুরগির কেজি এখন ২১০ টাকা

29

নিজস্ব প্রতিবেদক

রমজান মাসের আগেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে দফায় দফায়। ১৫ দিনের ব্যবধানের ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৫০-৬০ টাকা। ১৫ দিন আগেও প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ১৫০ টাকা। সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
গতকাল শুক্রবার নগরীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ২০৫ থেকে ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালী মুরগি ২৯০, দেশি মুরগি ৪৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে প্রতিডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭শ’ ও খাসির মাংস ৯শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি লাউ ৪০, টমেটো ৩০, বরবটি ৯০ থেকে ১০০, শিম ৫০, ফুলকপি ৩৫, ঢেঁড়স ১০০, বেগুন ৫০, মিষ্টি কুমড়া ৩৫ থেকে ৪০, শালগম ৪০ থেকে ৪৫, মূলা ৩০ ও শিমের বিচি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১২০ টাকায়।
মুরগি ব্যবসায়ী সেলিম পূর্বদেশকে জানান, ব্রয়লার মুরগির দাম ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। বর্তমানে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়, সোনালি প্রতিকেজি ২৯০ টাকা, দেশি মুরগির দাম অপরিবর্তিত আছে। দেশি মুরগি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৬০ টাকায়। এছাড়া ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৪০ টাকায়।
এদিকে রমজানের চাহিদাকে পুঁজি করে এখন থেকে অস্থির হয়ে উঠেছে মসলার বাজার। কিছু কিছু মসলার দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ায় ও আমদানি কমায় মসলার দাম বেড়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, কেজিতে ৩০০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি জিরা ৭০০ টাকা, মরিচের গুঁড়ার দাম কেজিতে দ্বিগুণ বেড়ে ৫০০ টাকা হয়েছে। কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে হলুদের গুঁড়া বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। তাছাড়া প্রতিকেজি লবঙ্গ ১২০০ এবং জয়ত্রী ১৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে প্রতিকেজি দেশি রসুন ১৮০ ও আমদানি করা রসুন ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি আদা ১৪০ টাকা ও আমদানি করা আদা ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, সবচেয়ে বেশি মসলা বিক্রি হয় হোটেল-রেস্টুরেন্টে। বাসা-বাড়িতে মসলার ব্যবহার হয় প্রতিদিন। এরমধ্যে জিরা, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, গোলমরিচ, জায়ফল ও জয়ত্রীর চাহিদা বেশি।
খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী জানান, দেশি জাতের আদা-রসুন আকারে ছোট। সেগুলো মানুষ কিনতে চায় না। বড় সাইজের আদা-রসুনের চাহিদা বেশি। এর প্রভাব বাজারে পড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে মসলার দাম বেড়েছে। তাই আমদানি কমছে। বাজারে সরবরাহ সংকটে সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে। এদিকে অতিরিক্ত দামের কারণে মসলা বিক্রিও কমে গেছে।