ব্রিজ নির্মাণে বদলে গেছে এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা

65

রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের হাফেজ বয়েজুর রহমান সড়কে একটি ব্রিজের জন্য বছরের পর বছর এলাকার সার্বিক চিত্র পিছিয়ে ছিল। পোমরা হাজি পাড়া থেকে এ সড়ক দিয়ে সোনাইছড়ি দিয়ে রাঙ্গামাটি বেতবুনিয়া সহজে যাওয়া যায়। কমপক্ষে ৫ কিলোমটিার কাঁদা সড়ক দিয়ে যাতায়তে মধ্য খানে ব্রিজ না থাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছে। এ ওয়ার্ডে সড়কের পাশ ঘেষে বিস্তীর্ণ জমি আর সবজি চাষের সারি। ব্রিজের অভাবে চাষাবাদে মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করে।
এলাকার সারাজীবনের দুঃখ একটি ব্রিজের জন্য। এলাকার যোগাযোগ উন্নয়নের কথা ভেবে গত বছর রাঙ্গুনিয়ার সাবেক মন্ত্রী বর্তমান তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সড়কের সুরিৎ সিং এলাকায় ভিত্তিপ্রস্থর করেন। ভিত্তিপ্রস্তরের পরপর পুরো সড়কে যানবাহন ও জন চলাচল করার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে অতি দরিদ্রদের জন্য কাজের বিনিময়ে খাদ্যকর্মসূচি প্রকল্প দিয়ে সড়কে মাটি ভরাট করে। এত সড়কটি চলাচলের আওতায় আসে। এছাড়াও সড়কের সুরিৎ সিং এলাকায় ব্রিজের নির্মানের অনুমোদন পায়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, ভিত্তিপ্রস্তরের পর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ২৯ লাখ ৪৫ হাজার ৪শ ৬০ টাকা বরাদ্দ প্রাপ্ত হয়। গত ১৮ সালের আগস্ট মাসে ব্রিজের নির্মাণ কাজ পায় ফাতেমা কনস্ট্রাকশন। জানা যায়, ব্রিজ নির্মাণে ঠিকাদার দ্রæত সময়ে ব্রিজটির কাজ শুরু করেন। দূর্গম কাঁদামাখা সড়ক মাড়িযে ব্রিজের মালামার আনতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। এরপরও ব্রিজটি এলাকার জন্য গুরুর্ত্বপূর্ণ হওয়ায় গত বছরের শেষের দিকে ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ করে। এলাকার এমরান হোসেন জানান, ব্রিজটি আমাদের জন্য কত গুরুর্ত্বপূর্ণ বলে শেষ করা যাবে না। সড়ক জুড়ে ইট সলিং না থাকায় আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল খুবই নাজুক। ব্রিজটি নির্মাণ হওয়ায় এখন অল্প সময়ে এ সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারবে। বদলে যাচ্ছে এলাকার সার্বিক চিত্র। এলাকার কৃষকের আর সমস্যা থাকবে না। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবদুল জব্বার জানান, ব্রিজটি হাফেজ বয়েজুর রহমান সড়কে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ পাওয়ার পর অল্প সময়ে ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু করি। এখন শেষ হয়েছে। চলাচলে জন্য অচিরেই খুলে দেওয়া হবে। ফাতেমা কনস্ট্রাকশনের মালিক ও তথ্য মন্ত্রীর ব্যাক্তিগত সহকারী এমরুল করিম রাশেদ জানান, হাফেজ বয়েজুর রহমান সড়কে ব্রিজটি না থাকায় এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই নাজুক ছিল। ব্রিজটি নির্মাণ হওয়ায় এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমুল পরিবর্তন আসবে। বদলে যাবে এলাকার উন্নয়ন চিত্র। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান জানান, সড়কে ব্রিজটি হওয়ায় এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। গত ৮ জানুয়ারি ব্রিজটি পরিদর্শনের জন্য যায়। ব্রিজের নির্মাণ কাজ টেকসই হয়েছে। চলাচলের জন্য ব্রিজটি খুলে দেওয়া হবে।