ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৪৪ ধারা জারি, পাঁচ শতাধিক পুলিশ মোতায়েন

18

পূর্বদেশ অনলাইন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জেলা বিএনপি ও ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে কেন্দ্র করে শহরজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সমাবেশস্থল ফুলবাড়িয়া কমিউনিটি সেন্টার এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মেতায়েন রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরো শহরে আজ সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে সব ধরনের সভা-সমাবেশ।

কয়েক দিন আগে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে শহরের ফুলবাড়িয়া এলাকায় ফুলবাড়িয়া কমিউনিটি সেন্টারের সামনে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে সমাবেশ আহ্বান করা হয়। এই সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ কুমিল্লা সাংগঠনিক বিভাগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু কয়েক দিন আগে একই স্থানে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠাবাষির্কী অনুষ্ঠানের সমাবেশ আহ্বান করা হয়।

তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কাউকে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। দুটি রাজনৈতিক দল পাল্টাপাল্টি সমাবেশ আয়োজনের সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় রাজনৈতিক পরিবেশ অনেকটা ঘোলাটে হতে থাকে। পরে শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা বিএনপির শীর্ষ চার নেতাকে আটক করে পুলিশ। এরপর আজ সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত পুরো শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। সেই সঙ্গে সব ধরনের সভা ও সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, সমাবেশকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহর ও শহরতলীর ৪০টি পয়েন্টে অন্তত পাঁচ শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি বলেন, দুই সপ্তাহ আগে আমরা সমাবেশ করার বিষয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি। হঠাৎ জানতে পারি, এখানে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সমাবেশ আহ্বান করা হয়েছে। আমরা জানি না কেন করা হয়েছে।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন জানান, গত ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল। কিন্তু ৫ জানুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন থাকায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানটি হয়নি। প্রশাসনের কাছে আবেদন অনুযায়ী শহরের ফুলবাড়িয়া কমিউনিটি সেন্টারের সামনে কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম জানান, যেকোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রত্যেকটি পয়েন্টে পুলিশ তৎপর রয়েছে। কেউ যদি ১৪৪ ধারা ভঙ্গসহ আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করে, তাদেরকে কঠোরভাবে দমন করা হবে।