সাইফুল্লাহ্ চৌধুরী, আবুধাবি থেকে
ফাইনালে উঠতে না পারলেও বাংলা টাইগার্সের জন্য ৩য় স্থান নির্ধারণী ম্যাচটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল এই কারণে যে, অলিম্পিকের ভাষায় বলতে গেলে ব্রোঞ্জ (৩য় স্থান) হলেও একটা পাওয়া তো অবশ্যই সম্মানের। ২য় কারণটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবারের আসরে এর আগে তিনটি ম্যাচেই আবুধাবির কাছে হেরেছিল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। এ ম্যাচে মাঠে বিশ্রামে ছিলেন অধিনায়ক ও মেন্টর ফাফ ডু প্লেসিস, বেনি হাওয়েলসহ বেশ কয়েকজন নিয়মিত ক্রিকেটার। আবুধাবি টিমেও ক্রিস গেইলসহ কয়েকজন খেলেননি। টসে হারলেও বাংলা টাইগার্স ফিল্ডিং পায়।
গতকাল যে পিচে খেলা হয়েছে তা ছিল কিছুটা মন্তর গতির। ফলে বল ব্যাটে আসছিল কিছুটা দেরিতে। আর তাতেই ব্যাটসম্যানরা শট খেলতে মারাত্মক সমস্যায় পড়ে। ঠিকমত বল ব্যাটে না আসায় স্বাভাবিকের চাইতে বেশি উইকেট পড়ছিল আর রান উঠছিল কম। নির্ধারিত ১০ ওভারে টিম আবুধাবির স্কোর গড়ায় ৫ উইকেটে ৯৮ রান। একমাত্র কলিন ইনগ্রাম (৪১) ছাড়া স্থানীয় দলটির আর কেউ তেমন সুবিধা করতে পারেননি। বাংলা টাইগার্সের সব বোলারই মোটামুটি ভাল বল করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলা টাইগার্সের ব্যাটসম্যানরাও রান করতে সমস্যার মুখোমুখি হয়। লিগের সর্বাধিক রান সংগ্রাহক হযরতউল্লাহ্ জাজাইসহ কেউই নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। শেষ ওভারে ৭ রান নিতে পারেননি তারা, একটা বাউন্ডারিও বের করতে পারেননি উইল স্মিড ও কাইস আহমেদ। শেষ বলে ৩ রান প্রয়োজন হলেও দুর্বল শটে তারা মাত্র ২ রান নিলে ম্যাচ টাই হয়ে যায়। সুপার ওভারে না গিয়ে বাইল’জ অনুযায়ী লিগ টেবিলে উপরে থাকার সুবাদে টিম আবুধাবি বিজয়ী হয় অর্থাৎ আবুধাবি টি টেন লিগের ৫ম আসরে ৩য় স্থান লাভ করে টিম আবুধাবি। জনসন চার্লস ১৭, জ্যাকস ২০ ও জানাত ১৭ রান করার পর উইল স্মিড অপরাজিত ২৫ রান করলেও লকে জেতাতে পারেননি। ফলে শিরোপার প্রত্যাশায় টিম করেও খালি হাতে ফিরতে হয় বাংলা টাইগার্সকে। অবশ্য এ ফলাফলে একটু হতাশ হলেও ভেঙে পড়েননি বাংলা টাইগার্সের মালিক এয়াছিন চৌধুরী। প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, ব্যাড লাক। ক্রিকেট গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা আবার প্রমাণিত হল। ইনশাআল্লাহ্, আগামী আসরে আরো শক্তিশালী টিম নিয়ে মাঠে নামব।